নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রে যে শিবসেনা সরকারের শরিক হয়েছে কংগ্রেস, অতীতে তাদেরই মহাত্মা গাঁধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের প্রশংসার প্রসঙ্গ টেনে রাহুল গাঁধীকে অস্বস্তিতে ফেলার কৌশল বিজেপির। রাজ্যে বিজেপিকে ঠেকাতে শিবসেনার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস-এনসিপি। ঘটনাচক্রে বিজেপির হিন্দুত্ব রাজনীতির দীর্ঘকালের শরিক ছিল শিবসেনা। আজ জোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন শিবসেনা সভাপতি উদ্ধব ঠাকরে। সেখানে হাজির থাকার আমন্ত্রণ পেয়েও যাননি রাহুল, শুধু বার্তা পাঠিয়েছেন। কেন রাহুল যাননি, প্রশ্ন তুলে ট্যুইট করেছেন বিজেপি মুখপাত্র জিভিএল নরসিমা রাও। লিখেছেন, দ্বিচারিতা বন্ধ করুন রাহুল গাঁধী। আপনারা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী করলেন এমন একজনকে যাঁর দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের মতোই। ‘সামনা’র এডিটর-ইন-চিফ উদ্ধব ঠাকরে লিখেছিলেন, গডসে দেশপ্রেমিক। সেজন্যই কি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকতে আপনার এই দ্বিধা, সংকোচ!
রাহুল আজ বিজেপিকে তাদের সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরের গডসে-বন্দনা নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, ওঁর মন্তব্যে গেরুয়া পার্টির ‘মনের কথা’ই ফুটে উঠেছে। পাল্টা বিজেপি মুখপাত্রটি লিখেছেন, রাহুল কি ভয় পাচ্ছেন যে, উদ্ধব ঠাকরেকে আলিঙ্গন করলে সেটা গলায় দড়ি দেওয়ার সামিল হবে? শিবসেনাকে ক্ষমতা কব্জা করার জন্য প্রয়োজন, কিন্তু ওরা অস্পৃশ্য, অচ্ছুত্! সুলতানরা এভাবেই দাসদের সঙ্গে আচরণ করত। মহারাষ্ট্রের গর্ব বালাসাহেব ঠাকরের ঐতিহ্যের শেষ পর্যন্ত এই পরিণতি!
পাশাপাশি উদ্ধবকেও খোঁচা দিয়ে রাও তাঁকে ‘গডসে ভক্ত’ বলে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, শিবসেনা প্রধান, তাঁর দলের বিধায়করা ‘সুলতানতন্ত্রে’র প্রতি নিজেদের আনুগত্য দেখালেন। এবার ‘সামনা’-র নতুন নাম করুন ‘সনিয়া নামা’, এই আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করুন। আপনার তৃতীয় শ্রেণির কাগজে ছাপা বিচারবোধহীন সম্পাদকীয় ওরা সহ্য করবে না।