মুম্বই: IVF পদ্ধতিতেই কোলে এসেছে যমজ সন্তান, খোলসা করলেন মুকেশ আম্বানির কন্যা ইশা আম্বানি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতি হলেও, IVF নিয়ে  আজও ছুঁৎমার্গ রয়েছে ভারতীয় সমাজে। তাই নিজের মা হওয়ার অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন বলে জানিয়েছেন ইশা। তবে গোটা প্রক্রিয়া যে মোটেই সহজ ছিল না, তা স্বীকার করেছেন ইশা। তাঁর শরীর একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন। (Ishani Ambani)


সম্প্রতি একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের মা হওয়ার অভিজ্ঞতা সকলের সামনে তুলে ধরেন ইশা। তিনি বলেন, “আমার যমজ সন্তানের জন্ম হয়েছে IVF পদ্ধতিতে। আমি সোজাসাপ্টাই জানিয়ে দিই। কারণ IVF পদ্ধতিতে সন্তানধারণের বিষয়টিকে স্বাভাবিক করে তুলতে পারব আমরা। কারও লজ্জিত হওয়ার বা একলা বোধ করা উচিত নয়। অত্যন্ত কঠিন প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় মা হওয়ার অর্থ শারীরিক ভাবে একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়া।” (Isha Ambani on IVF)


রিলায়্যান্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানি এবং নীতা আম্বানির একমাত্র কন্যা ইশা। ২০১৮ সালে আনন্দ পিরামলের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ইশা। ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর তাঁদের যমজ সন্তান জন্ম নেয়, আদিয়াশক্তি এবং কৃষ্ণ। ইশার কথায়, “সন্তানধারণের জন্য পৃথিবীতে অধুনিক প্রযুক্তি যখন রয়েছে, তার ব্যবহার কেন করব না? এ নিয়ে লুকোছাপা না করে উৎসাহিত হওয়া উচিত। এ নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে পারলে, বিশেষ করে বান্ধবীদের সঙ্গে কথা বলতে পারলে মন হালকা হয়।” সমাজে IVF পদ্ধতি নিয়ে এখনও ছুঁৎমার্গ রয়েছে এবং মানুষের মধ্যে এখনও এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে সম্যক ধারণা গড়ে ওঠেনি বলেও মনে করেন ইশা। 


আরও পড়ুন: IAS Anjali Birla: প্রথম চেষ্টাতেই IAS লোকসভার স্পিকারের মেয়ে, পরীক্ষাতেই বসেননি বলে অভিযোগ, নতুন করে শোরগোল


ইশার মা, নীতাও IVF পদ্ধতির মাধ্যমে ইশা এবং আকাশের জন্ম দেন। বেশ কয়েকর বছর আগে সেই নিয়ে মুখ খোলেন নীতা। নীতা জানিয়েছিলেন, মাত্র ২৩ বছর বয়স ছিল তাঁর। সেই সময় চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, তিনি কখনও মা হতে পারবেন না বলে। ওই কথা শুনে তিনি ভেঙে পড়েছিলেন। কিন্তু ফিরুজা পারিখ নামের এক চিকিৎসক, যিনি নীতার কাছের বন্ধু, তিনিই নীতাকে IVF-এর পথ দেখান এবং সেই পদ্ধতিতে তিনি আকাশ এবং ইশার জন্ম দেন। ইশাও মায়ের পথেই হেঁটেছেন।


নিজের কাছের বান্ধবীর কথা বলতে গিয়ে বউদি শ্লোকা মেহতার কথা উল্লেখ করেছেন ইশা। ইশা, তাঁর যমজ দাদা, আকাশ এবং শ্লোকা একই স্কুলে পড়াশোনা করতেন। ইশা বলেন, “আকাশ যে আমার প্রিয় বন্ধু শ্লোকাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আমার সৌভাগ্য। যখন বড় হচ্ছিলাম, শ্লোকা আমার বোন হয়ে ওঠে। এখনও লন্ডনে একটি বাড়িতেই থাকি আমরা। আকাশ এবং আনন্দ যখন মুম্বইয়ে থাকে, আমরা ছেলেমেয়েদের নিয়ে ওখানে থাকি। তাই আমরা আসলে পরস্পরকে বিয়ে করেছি বলে রসিকতাও করি।”


ইশার ভাই অনন্ত আম্বানিও শীঘ্রই সাতপাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন। দীর্ঘদিনের প্রেমিকা রাধিকা মার্চেন্টের সঙ্গে বিয়ে তাঁর। রাধিকার সঙ্গে কেমন সম্পর্ক জানতে চাইলে ইশা বলেন, “অনন্ত আমার কাছে সন্তানের মতোই। বরাবর ও আমার চোখে চোখে থেকেছে। রাধিকার প্রতি আমার অনুভূতিও মাতৃসুলভ। মা, শ্লোকা এবং রাধিকাই আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। সবার আগে ওদের কাছে যাই আমি।”