ট্রেন্ডিং





IAS Anjali Birla: প্রথম চেষ্টাতেই IAS লোকসভার স্পিকারের মেয়ে, পরীক্ষাতেই বসেননি বলে অভিযোগ, নতুন করে শোরগোল
Om Birla Daughter: লোকসভার স্পিকারের মেয়ে অঞ্জলি বিড়লা IAS অফিসার। এই মুহূর্তে রেল বিভাগে কর্মরত।

নয়াদিল্লি: পরীক্ষা কেলেঙ্কারি নিয়ে শোরগোল গোটা দেশে। সেই আবহে নতুন করে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার (Om Birla) মেয়েকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করল। মডেলিং ছেড়ে প্রথম চেষ্টাতেই IAS অফিসার হন তিনি। কিন্তু আদতে স্পিকারের কন্যা পরীক্ষাতেই বসেননি বলে অভিযোগ উঠছে। এ নিয়ে তদন্তেরও দাবি করছেন অনেকে। (Anjali Birla)
লোকসভার স্পিকারের মেয়ে অঞ্জলি বিড়লা IAS অফিসার। এই মুহূর্তে রেল বিভাগে কর্মরত। ২০১৯ সালে তিনি UPSC পরীক্ষায় পাশ করেন প্রথম চেষ্টাতেই। এর পর IAS অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। UPSC বেছে নেওয়ার আগে মডেলিং করতেন অঞ্জলি।
সম্প্রতি ডাক্তারি প্রবেশি পরীক্ষা NEET, UGC-NET পরীক্ষায় ভূরি ভূরি অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। ধরপাকড় এবং তল্লাশিও চলছে দেশ জুড়ে। আর সেই আবহেই অঞ্জলিকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। এই প্রথম যদিও এমন অভিযোগ উঠল না। এর আগেই অঞ্জলির UPSC পাশ করা নিয়ে অভিযোগ সামনে আসে। তবে NEET এবং UGC-NET বিতর্কের মধ্যে অঞ্জলিকে নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক নাগরিক ব্যঙ্গাত্মক সুরে লেখেন, ‘অঞ্জলি বিড়লা, লোকসভার ‘নরমসরম এবং নিরপেক্ষ স্পিকার’ ওম প্রকাশ বিড়লার মেয়ে। ২০১৯ সালে প্রথম চেষ্টাতেই UPSC পাশ করে IAS নিযুক্ত হন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, অঞ্জলি সৎভাবেই পরীক্ষায় পাশ করেছেন। সবকিছু একেবারে NEET অ্যান্ড ক্লিন’।
দ্বিতীয় জন লেখেন, ‘ভারত এমন দেশ যেখানে পরীক্ষায় না বসেই UPSC পাশ করা যায়, আপনি যদি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার মেয়ে হন। অঞ্জলি বিড়লা পেশায় মডেল। পরীক্ষা ছাড়াই তাঁকে বাছাই করা হয়। অথচ যোগ্যদের হতাশা ছাড়া কিছুই জোটে না। মোদি সরকার আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে হাস্যকর করে তুলছে’।
আর এক ব্যক্তি লেখেন, ‘লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, যিনি এক নম্বরের স্বৈরাচারী, তাঁর মেয়ে মডেলিং করতেন। আচমকা IAS পরীক্ষায় বসলেন এবং প্রথম চেষ্টাতেই IAS হয়ে গেলেন। UPSC-ও কি NEET নেওয়া সংস্থার মতো দুর্নীতিগ্রস্ত? এ নিয়েও কি তদন্ত হওয়া উচিত’? IAS হয়েও বাবার হয়ে প্রচারে বেরনো নিয়েও ইতিমধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়েছেন অঞ্জলি।
২০২৩ সালেও এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেই সময় সংবাদ সংস্থা পিটিআই সত্যতা যাচাই করে বেশ কিছু নথিপত্র সামনে আনে, যার মধ্যে অঞ্জলির রেজাল্টও ছিল। ২০২১ সালে অঞ্জলি নিজেও এ নিয়ে মুখ খোলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, “আমি পড়াশোনা করেছি। সেটা নিয়ে সাফাই দিতে হবে জেনে সত্যিই আহত হয়েছি। তবে এতে মনের জোর বেড়েছে আমার। আগামী দিনেও এমন ভিত্তিহীন সমালোচনার মুখে পড়তে হবে। আমাকে প্রাপ্তবয়স্ক করে তুলেছে এই ঘটনা।”
দিল্লির রামজস কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন অঞ্জলি। ২০১৯ সালে IAS হিসেবে যে ৮৯ জনের নাম প্রস্তাব করে UPSC, তাতে নাম ছিল অঞ্জলিরও।