নয়াদিল্লি: পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই সোস্যাল মিডিয়ায় মধুচক্রের ফাঁদ পেতে তাদের জড়ানোর ছক কষছে বলে অফিসার, জওয়ানদের সতর্ক করল ভারতীয় সেনা কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, সেনা কর্তৃপক্ষ বলেছে, ১৫০টি ভুয়ো সোস্যাল মিডিয়া প্রোফাইল কাজে লাগাচ্ছে পাক গুপ্তচররা। ভারতীয় সেনা অফিসার, জওয়ানদের প্রলোভনের ফাঁদে জড়িয়ে বাহিনীর নানা গোপন, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বের করে নেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য। এই ফাঁদ সম্পর্কে সাবধান করে সেনা অফিসারদের গত মাসে একটি অ্যাডভাইসরি পাঠানো হয়েছে বলে খবর। বলা হয়েছে, জাল সোস্যাল মিডিয়া প্রোফাইল ব্যবহারকারী লোকজন বাহিনীর অফিসার, পুলিশকর্মী এমনকী মহিলার ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ঘনিষ্ঠতা গড়ে সামরিক বাহিনীর তথ্য বের করার চেষ্টা করছে।
সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, জনৈক সামরিক অফিসার বলেছেন, প্রোফাইলগুলো ২-৩ বছরের পুরানো। ফলে কোনও সন্দেহ, সংশয় তৈরি হয় না, সেগুলি সত্যি বলেই মনে হয়। আর তারপরই ওরা টার্গেট করা শুরু করে। বুধবারই রাজস্থান পুলিশের গোয়েন্দা শাখা আইএসআইয়ের ফাঁদে পা দিয়ে গোপন, কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করার অভিযোগে এক সেনা জওয়ানকে গ্রেফতার করে। তাঁকে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে টার্গেট করেছিল আইএসআই। বিচিত্র বেহেরা নামে ওই জওয়ানকে স্থানীয় জেলা ও দায়রা আদালতে তোলা হয়। মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ নভেম্বর।
পোখরানে মোতায়েন বেহরাকে মঙ্গলবার আটক করা হয়। রবি নায়েক নামে আরেকজনকেও চরবৃত্তির সন্দেহে আটক করা হয়। নায়েকের বিরুদ্ধে কোনও উল্লেখ করার মতো তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। তাঁকে মামলায় সাক্ষী করা হবে।
জনৈক সেনা গোয়েন্দা অফিসার জানিয়েছেন, বেহরার ওপর নজরদারি চলছিল কিছুদিন ধরে। তিনি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে এক পাকিস্তানি মহিলা এজেন্টকে টাকার বিনিময়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নানা গোপন তথ্য পাচার করছিলেন বলে দেখা যায়। গোপন তথ্য রক্ষা আইনে মামলা রুজু করে বেহরার বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হয়।
তিনি জানান, বেহরা জেরায় জানিয়েছেন, দুবছর আগে ওই পাকিস্তানি মহিলার সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয়। প্রথমে তাঁদের ফেসবুকে কথা হত, তারপর ভিডিও কলিংয়েও যোগাযোগ রাখতেন তাঁরা।
প্রলোভনের শিকার হয়ে তিনি মহিলার কাছে বেশ কিছু গোপন তথ্য পাচার করেন। তথ্য সঠিক থাকলে ওই মহিলা এজেন্ট তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ফেলতেন।