নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে সন্ত্রাসবাদের কোমর ভাঙতে উদ্যত পুলিশ। সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা আন্তর্জাতিক অপরাধী নেটওয়ার্কগুলি ছত্রভঙ্গ করতে দেশজুড়ে চলছে তল্লাশি অভিযান। এবার দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার জালে একটি  আন্তঃরাজ্য অস্ত্র চোরাচালানকারী মডিউলের চার মাথা । আর এদের শিকড় ছড়িয়ে পাকিস্তান পর্যন্ত। পুলিশের দাবি, এই চক্রের সরাসরি যোগ ছিল  আইএসআই-এর। পাকিস্তানের মদতে সারা দেশে সন্ত্রাস চালাতে এরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্র মজুত করছিল। সন্ত্রাসবাদের চক্রীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল অত্যাধুনিক বিদেশী অস্ত্র। এমন বহু অস্ত্রই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ডিসিপি সঞ্জীব কুমার যাদবের নেতৃত্বে একটি দল এই অভিযান চালায়। 

Continues below advertisement

পুলিশ সূত্রে দাবি, এরা ড্রোন ব্যবহার করে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র আনিয়ে দেশে সন্ত্রাসবাদীদের ডেরায় পৌঁছে দিত।  এভাবেই পাকিস্তান থেকে  নানা উচ্চমানের বিদেশী তৈরি আধা-স্বয়ংক্রিয় পিস্তল এবং ৯২টি তাজা কার্তুজ আনিয়েছিল তারা। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন স্পেশাল সিপি (ক্রাইম) দেবেশ শ্রীবাস্তব।  এছাড়া   উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে  PX-5.7 পিস্তলও, যা চিনে তৈরি হয়। এতে করেই চক্রটির সঙ্গে চিন ও আইএসআইয়ের যোগ আরও স্পষ্ট হয়েছে।   

অন্যদিকে, দিল্লিতে সন্ত্রাসী বিস্ফোরণের পর কাশ্মীরেও কোমর বেঁধে চলছে তল্লাশি। এই  আবহে জমমুু-কাশ্মীরে জঙ্গি-অনুপ্রবেশ নিয়ে বড়সড় পর্দাফাঁস হয়েছে বলে সূত্রের খবর। গোয়েন্দাদের কাছে খবর আছে, শীতকালেই এ দেশে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে একাধিক পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী। দিল্লির মতোই সুইসাইড বম্বিংয়ের পরিকল্পনা করে থাকতে পারে তারা। বিশেষ  সূত্রের খবর, দিল্লির মতোই আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মুভিং ভেহিকল IED ব্যবহার করতে পারে জঙ্গিরা। এক্ষেত্রেও, পড়াশোনা করা যুবকদের সুইসাইড বম্বার বানানোর প্রস্তুতিও চলছে বলে সূত্রের খবর। দিল্লি বিস্ফোরণের পর ফের একবার 'হোয়াইট কলার' মডিউল ব্যবহার করতে পারে জঙ্গিরা বলে সূত্রের খবর। সেই কথা মাথায় রেখেই আরও জোরদার হচ্ছে তল্লাশি।   

Continues below advertisement

দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায়, তুরস্ক, আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তান, একাধিক দেশের জঙ্গিদের হ্য়ান্ডলারদের যোগ মিলেছে আগেই। প্রশ্ন উঠেছে, দেশ-বিদেশের জঙ্গি সংগঠন, এমনকী নিজেদের মধ্যে কীভাবে যোগাযোগ রাখত ফরিদাবাদের জঙ্গি-চিকিৎসক মডিউল-এর সদস্যরা? আর এখানেই উঠে আসছে 'সেশন' ও 'সিগনাল' নামে জোড়া অ্যাপের কথা। সূত্রের খবর, দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত ডাক্তারদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সিগনাল' অ্যাপে তৈরি একটি গ্রুপের মাধ্যমে চলত জইশ-এ-মহম্মদের 'ফিদায়েঁ মডিউল'।  তাহলে কি কোনও বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমেই চলতে এই অস্ত্র লেনদেনের নেটওয়ার্কও? খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।