নয়াদিল্লি: প্রাণ বাঁচাতে হলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা স্ট্রিপের উত্তরাংশের বাসিন্দারা যেন দক্ষিণ দিকে সরে যান, একেবারে সরাসরি জানিয়ে দিল ইজরায়েল (Israel Ultimatum To Gaza Residents)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর অর্থ স্পষ্ট। এর পর গাজায় 'গ্রাউন্ড ইনভেশন' বা ভূপথে হামলা করবে ইজরায়েল (Israel Palestine War)। তার আগে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা। ইতিমধ্যে, টানা আকাশপথে হামলা চালিয়ে হামাসের সামরিক পোস্ট নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে ইজরায়েল এয়ার ফোর্স। এদিন সে কথা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানায় তারা। তবে সাধারণ মানুষ যে এই হামলার লক্ষ্য নয়, সে কথা স্পষ্ট জানিয়েছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স। সেই লক্ষ্যেই আগাম সতর্কবার্তা।


শিয়রে বিপদ গাজার বাসিন্দাদের...
রাতারাতি বাড়িঘরদোর ফেলে দক্ষিণাংশে পালিয়ে যেতে হলে গাজার অন্তত ১১ লক্ষ বাসিন্দা গৃহহীন পড়বেন বলে আশঙ্কা রাষ্ট্রপুঞ্জের। সে কথা ভেবে এদিন তেল আভিভকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আর্জিও জানায় রাষ্ট্রপুঞ্জ। কিন্তু তাতে কতটা কাজ হবে সন্দেহ থাকছে। পাল্টা রাষ্ট্রপুঞ্জে ইজরায়েলের স্থায়ী প্রতিনিধি এই আর্জিকে লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেন, 'হামাস যে ভাবে বছরে পর বছর অস্ত্র জোগাড় করে গিয়েছে, সে ব্যাপারে এত দিন চোখ বুঝেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। সাধারণ বাসিন্দা ও নাগরিক পরিকাঠামোর আড়ালে যে ভাবে অস্ত্র ও খুনোখুনি চালিয়ে গিয়েছে, সেটাও রাষ্ট্রপুঞ্জ দেখতে পায়নি।'


কী হতে পারে?
আজ ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের সপ্তম দিন। এর মধ্যে, হামাসের সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি ডেরায় হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। ৬ হাজারেরও বেশি বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিতে ছাড়েনি হামাসও। সংঘর্ষে নিহতের সংখ্য়া ২৮০০ ছাড়িয়েছে। তবে ইজরায়েলের তরফে আশার কথা একটাই। তাদের যে ২৫০ জনকে হামাস পণবন্দি করেছিল, তাঁদের উদ্ধার করা গিয়েছে। সূত্রের খবর,  ৬০ জন জঙ্গিকে মেরে ওই পণবন্দিদের উদ্ধার করেছে আইডিএফ। হামাসের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে এবার ব্রিটেনের সমর্থন পেয়েছে ইজরায়েল। সে দেশে রয়্যাল নেভির জাহাজ পাঠাবে ব্রিটেন। এর মধ্যেই শুক্রবার জেরুজালেমে পুলিশ স্টেশনের কাছে গোলাগুলি চলে। তুমুল উত্তেজনার মধ্যে নতুন অভিযোগ উঠেছে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। গাজা এবং লেবাননে সাদা ফসফরাস ব্যবহার করেছে আইডিএফ, অভিযোগ এমনই। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বক্তব্য, এই বিতর্কিত সমরাস্ত্র ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ব্যবহার করলে বিপজ্জনক হতে পারে। তীব্র দহনের অনুভূতি হতে পারে সাধারণ মানুষের। ইজরায়েল বোমাবর্ষণের সময় এমনই করেছে, দাবি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার। এর শেষ কোথায়? জানা নেই। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন কোনও মোড় নিতে পারে এই যুদ্ধ, আশঙ্কা আন্তর্জাতিক মহলের।


আরও পড়ুন:তুমুল পতনের বাজারেও মোটা লাভ এই ২ 'নবরত্ন' সংস্থার! ১ দিনে কতটা বৃদ্ধি?