নয়াদিল্লি: নয় নয় করে এক বছর হতে চললেও, ইজরায়েল বনাম হামাস যুদ্ধে ইতি পড়ার কোনও ইঙ্গিত নেই। নিত্যদিন হতাহতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। সেই আবহেই রাষ্ট্রপুঞ্জে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ভোটদান থেকে বিরত রইল ভারত। প্যালেস্তাইনের অধিকৃত অঞ্চলে ইজরায়েলের বেআইনি জবরদখলের বিরুদ্ধে প্রস্তাব জমা পড়েছিল, যাতে বলা হয়, অবিলম্বে ইজরায়েলকে পিছু হটতে হবে। কিন্তু সেই প্রস্তাবের সমর্থনে বা বিপক্ষে ভোট দিল না ভারত। (Israel-Hamas War:)
বুধবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রস্তাব জমা পড়ে। প্যালেস্তাইনের অধিকৃত অঞ্চলগুলি থেকে আগামী ১২ মাসের মধ্যে ইজরায়েলকে সরে যেতে হবে বলে দাবি জানানো হয়। এই প্রস্তাবের সপক্ষে ভোট দেয় ১২৪টি দেশ। বিপক্ষে ১৪টি দেশ ভোট দেয়। ভোটদান থেকে বিরত থাকে ৪৩টি দেশ। ভারতের পাশাপাশি, ভোটদান থেকে বিরত থাকে আমরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, নেপাল, ইউক্রেন ভোট দেয়নি। (United Nations)
'Advisory Opinion of the International Court of Justice on the Legal Consequences Arising from Israel's Ploicies and Practices in the Occupied Palestinian Territory, including East Jerusalem' নামের প্রস্তাবটি জমা পড়ে। আর দেরি নয়, অবিলম্বে প্যালেস্তাইনের অধিকৃত এলাকা থেকে নিজেদের বেআইনি উপস্থিতি সরিয়ে ফেলতে হবে বলে জানানো হয়। প্য়ালেস্তাইনে ইজরায়েল যা করছে, তা ভুল এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি দেখা উচিত বলে লেখা হয়।
প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় প্যালেস্তাইনের প্রতিনিধি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সরব হবব। তিনি বলেন, "বার বার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে। এভাবে মুখ ঘুরিয়ে থাকতে পারে না আন্তর্জাতিক মহল।" অবিলম্বে পদক্ষেপ করার আর্জি জানান তিনি। ওই প্রস্তাবে বলা হয়, আন্তর্জাতিক লঙ্ঘন করায় আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ কঠিন হচ্ছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জে ইজরায়েলের প্রতিনিধি গিলাড এর্ডান ওই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। বলা হয়, "ইজরায়েলকে হেয় করার রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। তাই ইজরায়েলের বৈধতাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।" আমেরিকাও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। এতে শান্তি ফিরবে না, বরং অশান্তি বাড়বে বলে জানান তিনি। লেবাননে পেজার এবং ওয়াকি-টকি হামলায় এই মুহূর্তে সমালোচনার শিকার ইজরায়েল।