নয়াদিল্লি: নয় নয় করে একবছর হতে চলেছে ইজরায়েল বনাম হামাস যুদ্ধ। গোড়ার দিকে বিশ্বের তাবড় দেশের সমর্থন পেলেও, যত দিন যাচ্ছে ইজরায়েল ততই সমালোচনার মুখে পড়ছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ঘটানোর অভিযোগ উঠছে লাগাতার। সেই আবহেই আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং স্পেন সরকারি ভাবে প্যালেস্তাইনকে পৃথক রাষ্ট্র ঘোষণার পথে হাঁটল।(Israel-Hamas War)


আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং স্পেন জানিয়েছে, আগামী ২৮ মে থেকে প্যালেস্তাইন তাদের কাছে স্বাধীন, পৃথক রাষ্ট্র। ইজরায়েলের বিরোধিতা করতে বা হামাসের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে নয়, বরং বিশ্বশান্তি অর্জনের লক্ষ্যেই তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু তাদের এই ঘোষণায় ইতিমধ্যেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইজরায়েল। (Palestine State)


ওই তিন দেশ প্যালেস্তাইনকে পৃথক দেশের স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা করতেই ভোক্ষ প্রকাশ করে ইজরায়েল। তাদের দাবি, এতে শান্তিস্থাপন হবে না, বরং অস্থিরতা বাড়বে। এর পরই দেশের বিদেশমন্ত্রী ইজরায়েল কাৎজ জানান, ইজরায়েল চুপ করে খাকবে না। দেশের সার্বভৌমিকতা এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে যতদূর যেতে হয় যাবেন তাঁরা। আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ে থেকে থেকে ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূতদের দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। স্পেনের ক্ষেত্রেও একই অবস্থান নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইজরায়েলে মোতায়েন ওই তিন দেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কাৎজ।


আরও পড়ুন: Bangladesh MP Murdered In Kolkata : কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে খুন বাংলাদেশের সাংসদ, কোথায় দেহ?



বুধবার প্রথম নরওয়ে প্যালেস্তাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা করে। এর পর বাকি দুই দেশও এগিয়ে আসে। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্তোর বলেন, “পশ্চিম এশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ফেরানোর এটাই একমাত্র সমাধান।” তিনিও দ্বিরাষ্ট্র সমাধানই তুলে ধরেন, যাতে ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাই, দুই পৃথক ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে শান্তিপূর্ণ ভাবে পাশাপাশি বিরাজ করে।


গত বছর অক্টোবর মাস থেকে ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের হামাস সংগঠনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র গাজায় ৩৫ হাজার ৭০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার নধ্যে ১৫ হাজার শিশুও রয়েছে। আহতের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৯৯০। এখনও নিখোঁজ ১০ হাজার মানুষ।


অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে কমপক্ষে ৫১২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে, যার মধ্যে ১২৭ শিশুও রয়েছে। আহতের সংখ্যা ৪৯৫০। ইজরায়েলে সবমিলিয়ে ১১৩৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৮৭৩০।