নয়াদিল্লি: ঘণ্টার হিসেবে ২৪ ঘণ্টা কেটেছে মাত্র। তাতেই ১০০০-এর বেশি প্রাণহানি। ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইন যুদ্ধ ভয় ধরাচ্ছে গোটা বিশ্বকে। তবে এবারের যুদ্ধে বেশি আগ্রাসী হামাস। সেই তুলনায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ইজরায়েলকে। এখনও পর্যন্ত যে হিসেব পাওয়া যাচ্ছে, তা হল, ইজরায়েলের তরফে শনি-রবি মিলিয়ে ৬৫৯-এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ৩৮০ জন প্যালেস্তিনীয়ের মৃত্যু হয়েছে গাজায়। আহতের সংখ্যাও কয়েক হাজার। (Israel-Palestine War)
গাজাকে অর্থনৈতিক ভাবে অবরুদ্ধ করা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই পরিস্থিতি তেতে উঠছিল। সেই আবহেই শনিবার ইজরায়েলের উদ্দেশে হামাস ২০ মিনিটে ৫০০০ রকেট ছোড়ে বলে অভিযোগ। এর পরই প্যালেস্তাইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষণা করে ইজরায়েল। রবিবার দেশের ক্যাবিনেটের বৈঠকও হয়। সেখান থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে যুদ্ধের ঘোষণা করা হয়। গাজায় সামরিক পদক্ষেপে অনুমোদন দেওয়া হয়। (Israel-Palestine Conflict)
এরই মধ্যে প্যালেস্তাইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইজরায়েলের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে আমেরিকা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এদিন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন। তার পর বিবৃতি জারি করে বলেন, "প্রধানমন্ত্রী নেতানইয়াহুকে স্পষ্ট জানিয়েছি, ইজরায়েল সরকার এবং দেশের মানুষের সমর্থনে তৈরি আছি আমরা। সব ধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত। আত্মরক্ষা এবং দেশের নাগরিকদের রক্ষা করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে ইজরায়েলের। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের সঙ্গে বৈরিতা থাকা কোন পক্ষ যদি সুযোগ নিতে আসে, আগেভাগে তাদের সতর্ক করছি।"
আরও পড়ুন: Afghanistan Earthquake: বাড়িঘর সব ধূলিসাৎ, মৃত ২০০০, ভূমিকম্প-আফটার শকে লন্ডভন্ড আফগানিস্তান
এযাবৎ ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের মধ্যে একাধিক যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু বরাবরই ইজরায়েল এগিয়ে থেকেছে প্যালেস্তাইনের থেকে। এবার যদিও প্যালেস্তাইনের হামাসকেই বেশি আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে লেবানন থেকে ইসলামি সংগঠন হেজবোল্লা ইজরায়েলি সেনাকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে। দফায় দফায় মর্টার ছুড়েছে তারা। এর পাল্টা লেবাননে সীমান্তে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল।
এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন দুই দেশের সাধারণ মানুষ। রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী বিভাগ জানিয়েছে, গাজায় বসবাসকারী প্যালেস্তিনীরা তাদের চালানো স্কুলে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। কিন্তু হামাসের তরফে হামলা হতে পারে, তা ইজরায়েলি গোয়েন্দাদের কানে উঠল না কেন, সেই প্রশ্নও উঠছে। বিষয়টি নিয়ে জার্মানি, ইউক্রেন, ইতালি, ব্রিটেনের সঙ্গে কথা হয়েছে নেতানইয়াহুর। ওই দেশগুলির তরফে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ভারতের তরফেও ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, প্যালেস্তাইনের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে ইরান। তবে তাদের এই সমর্থন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। কারণ সৌদি আরবের সঙ্গে ইজরায়েলের শান্তিচুক্তির প্রক্রিয়া চলছিল। সেটা ভেস্তে দিতেই এই পন্থা ইরানের, মনে করছেন কূটনীতিকরা।