নয়া দিল্লি: ইরান-ইজরায়েল সংঘাত আরও বাড়ল। আমেরিকার হামলার পর ইজরায়েলে প্রত্যাঘাত ইরানের। তেল আভিভ, হাইফায় প্রায় ২৫টি ব্যালিস্টিক মিসাইল  হামলা চালাল ইরান। জেরুজালেমেও শোনা গেল বিস্ফোরণের শব্দ। ইজরায়েলের দাবি, ইরানের সবকটি ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করেছে তারা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইজরায়েলের এয়ারস্পেস। পশ্চিম ইরানে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইজরায়েল।                                   

এদিকে, ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএস) দাবি করেছে যে তাদের সেনাবাহিনী ছ'টি ইরানি সামরিক বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে এবং ১৫টি যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছে। আইডিএস দাবি করেছে যে তাদের সেনাবাহিনী ধ্বংস করা জেটগুলি তাদের বিমানের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য এবং ইরানি ভূখণ্ডে ইজরায়েলের আক্রমণ প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।                   

আইডিএফ জানিয়েছে যে ধ্বংস হওয়া জেটগুলির মধ্যে ইরানি সামরিক বাহিনীর F-14, F-5 এবং AH-1 বিমান রয়েছে, এবং দাবি করেছে যে তাদের হামলায় এই সামরিক বিমানবন্দর এবং ভূগর্ভস্থ অ্যাপার্টমেন্টগুলির রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রবিবার ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর তেল আভিভ এবং হাইফার মতো প্রধান ইজরায়েলি শহরগুলিকে লক্ষ্য করে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর একদিন পর এই ঘটনা ঘটল।                                  

ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধের ১১ দিন। আমেরিকার হামলার পর ইজরায়েলের ওপর আক্রমণের তীব্রতা বাড়াল ইরান। তেল আভিভ, হাইফা-সহ ইজরায়েলের একাধিক শহরে শুরু হয়েছে মিসাইল হানা। মুহুর্মুহু বাজছে সাইরেন। ইজরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের নজর এড়িয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে যে কোনও মুহূর্তে আঘাত হানতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। আমেরিকার হামলায় ক্ষিপ্ত আয়াতোল্লা খামেনেই। সব ইউরেনিয়াম সুরক্ষিত বলে দাবি করে আমেরিকায় স্লিপার সেলকে সক্রিয় করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান।                             

অন্যদিকে, ইরানের কেরমানশাহ শহরে সামরিক ঘাঁটিতে এয়ারস্ট্রাইক চালাল ইজরায়েলের বায়ুসেনা। সংবাদ সংস্থা AP সূত্রে খবর, ইজরায়েলের হামলায় ইরানে প্রায় সাড়ে ৯০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।আহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৫০ জন।