নয়াদিল্লি : ইজরায়েলের হামলা। পাল্টা প্রত্যাঘাত হিসাবে ড্রোন নিক্ষেপ ইরানের। এরই মাঝে ইরানের উদ্দেশে হুঙ্কার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সবমিলিয়ে পৃথিবীর বুকে আরও একটা যুদ্ধের ময়দান তৈরি হচ্ছে। এরকম একটা পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর ফোন এল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে। সেই কথোপকথনে উভয় দেশের সংঘাত নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। Rising Lion অপারেশন চালিয়ে ইরানের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। তারা একাধিক পারমাণবিক ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর সঙ্গে কথার পর এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, "আমি ভারতের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি এবং ওই অঞ্চলে শান্তি ও স্থায়িত্ব পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছি।" এর আগে ভারত বলেছিল ইরান ও ইজরায়েলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারত "গভীরভাবে উদ্বিগ্ন" এবং পরিস্থিতির দিকে "পুঙ্খনাপুঙ্খ নজর" রাখছে। কোনও উত্তেজনাপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য উভয় দেশের সরকারকে আর্জিও জানিয়েছিল ভারত।
ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহে কূটনৈতিকভাবে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রকে পাশে পাতে ময়দানে নেমে পড়েছে ইজরায়েল। একাধিক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন নেতানইয়াহু। জার্মান চ্যান্সেলার ফ্রেডরিক মার্জ ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এখনও কথা বলেননি নেতানইয়াহু। যদিও ট্রাম্প ইতিমধ্যেই ইরানকে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, "বিশ্বের সবথেকে প্রাণঘাতী অস্ত্র আমেরিকা তৈরি করে। এরকম অনেক অস্ত্র ইজরায়েলের কাছে আছে।"
ইরানের উপর ইজরায়েলের হামলাকে "চমৎকার" বলতেও ছাড়েননি ট্রাম্প। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, "চুক্তি করার জন্য ইরানকে একের পর এক সুযোগ দিয়ে গেছি। আমি ওদের কড়া ভাষায় বলেছি যে, এটা করো (জাস্ট ডু ইট)। ওরা যেভাবেই চেষ্টা করুক, যত কাছেই আসুক, ওরা এটা করতে পারবে না...ইতিমধ্যেই অনেক মৃত্যু ও ধ্বংস হয়েছে, ইতিমধ্যেই আরও পাশবিক হত্যালীলা পরিকল্পনা হয়ে গেছে, যা থামানো যেতে পারে। কোনো কিছু অবশিষ্ট থাকার আগে ইরানকে চুক্তি করতেই হবে, একসময় যা ইরান সাম্রাজ্য হিসাবে পরিচিত ছিল তাকে রক্ষা করুন।"