তেল আভিভ: হজবরল-র বুড়ো জানতে চেয়েছিল, বয়স বাড়তি না কমতি। হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ যা চেয়ে এসেছে, এবার সম্ভবত তাই হাতে কলমে করে দেখিয়েছেন ইজরায়েলি বিজ্ঞানীরা। ইজরায়েলের তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয় ও শামির মেডিক্যাল সেন্টারের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, বয়সকে তাঁরা উল্টো পথে হাঁটানোর উপায় খুঁজে পেয়েছেন।

গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন অধ্যাপক শাই এফরাতি ও আমির হাদান্নি। এজিং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তাঁদের গবেষণাপত্র। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মাঝবয়সের দিকে ঢলে পড়া স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিদের ওপর হাইপারবারিক অক্সিজেন ট্রিটমেন্ট করেছেন তাঁরা। দেখা যাচ্ছে, এর ফলে শুধু রক্তকণিকার বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকানো গিয়েছে, তা নয়, চেহারায় বয়সের ছাপ আর বাড়ছে না, বরং কমছে। সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাঁরা দাবি করেছেন, শারীরবৃত্তীয়ভাবে দেখা যাচ্ছে, চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে তরুণতর হচ্ছে প্রাপ্তবয়স্কদের রক্তকণিকা।

কীভাবে চলছে এই চিকিৎসা? একটি প্রেসার চেম্বারে হাই-প্রেসার অক্সিজেনের মধ্যে রাখা হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকদের। এর ফলে বুড়িয়ে যাওয়া ও অসুস্থতার মত দুটি বড়সড় শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া উল্টো পথে চালানো সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ক্রোমোজোমের শেষে যে কমপাউন্ড স্ট্রাকচার থাকে সেই টেলোমেরেসের সংক্ষিপ্তকরণ হচ্ছে, পাশাপাশি বার করে দেওয়া হচ্ছে বুড়িয়ে যাওয়া ত্রুটিযুক্ত কোষ। স্বেচ্ছাসেবকদের রক্ত থেকে যে ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে বয়স্ক কোষের উপস্থিতি কমেছে ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত।

৬৪ ও তার বেশি বয়সের ৩৫ জন স্বাস্থ্যবান ব্যক্তির ওপর ৬০টি হাইপারবারিক সেশনসের সিরিজ করেছেন বিজ্ঞানীরা। ৯০ দিন ধরে চলেছে গোটা প্রক্রিয়া, পরীক্ষার শুরুতে আর শেষে তাঁদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পুরো পরীক্ষা শেষ হওয়ার দিনকয়েক পর নেওয়া হয়েছে রক্তের চূড়ান্ত নমুনা। তারপর বিভিন্ন সময়ের রক্তকণিকার ওপর এই ট্রিটমেন্টের প্রভাব কতটা পড়েছে সেই পরীক্ষা চলেছে।