কলকাতা: ফুটবল জগতের শ্রেষ্ঠতম জাদুকর চলে গেলেন। কিন্তু ফুটবলের বাইরেও দিয়েগো মারাদোনা বারবার শিরোনামে উঠে এসেছেন তাঁর জীবনশৈলী, ড্রাগ বিতর্কের জন্য। চলুন, তাঁর জীবনের এই অধ্যায়গুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
মারাদোনার জন্ম ১৯৬০-এ আর্জেন্তিনার রাজধানী বুয়েনস এয়ার্সের এক নোংরা বস্তিতে। তাঁরা ৮ ভাইবোন, মারাদোনা ছিলেন পঞ্চম। অত্যন্ত দারিদ্রের মধ্যে ছোটবেলা কেটেছে। তাঁর বাবা আশপাশের এলাকায় ঘুরে ঘুরে গবাদি পশু বিক্রি করতেন, পরে চাকরি পান এক রাসায়নিক কারখানায়। কিন্তু তাঁর পঞ্চম সন্তান ১৫ বছর বয়সেই সুপারস্টার। ১৬ বছর বয়সে পা রাখেন আন্তর্জাতিক ফুটবলে। বেঁটে ছিলেন তাই ১৯৭৮-এ বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য জাতীয় দলে নেওয়া হয়নি তাঁকে। ১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০ ও ১৯৯৪-এ বিশ্বকাপ খেলেন তিনি। ৮৬-র বিশ্বকাপ জেতান আর্জেন্তিনাকে। ১৯৯০-এ ওঠান বিশ্বকাপ ফাইনালে।
এক রিপোর্ট অনুযায়ী, মারাদোনা অন্তত ১১টি সন্তানের বাবা। তবে আইনি মতে তাঁর সন্তান মাত্র দুটি। একবার তিনি বলেন, তাঁর শুধু দুটি বৈধ সন্তান, বাকি সব তাঁর অর্থ ও ভুলের ফসল। গত বছর স্বীকার করেন, কিউবায় তাঁর ৩ সন্তান রয়েছে।
স্ত্রী ক্লাউডিয়া ভিলাফোনের সঙ্গে যখন তাঁর সাক্ষাৎ হয় তখন মারাদোনার মাত্র ১৭ বছর বয়স। ১০ বছরের সম্পর্কের পর ১৯৮৯ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। কিন্তি ২০০৪ সালে ডিভোর্স হয়ে যায় তাঁদের। তাঁদের ২ কন্যা রয়েছে।