কলকাতা: দক্ষিণ ভারতে আজও কলা পাতায় খাওয়ার চল রয়েছে। স্টিল বা কোনও ধাতুর তৈরি থালার উপরে কলা পাতা বিছিয়ে তাতে খেতে বেশি পছন্দ করেন দক্ষিণ ভারতের মানুষজন।কলা পাতায় খাওয়া ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্যের অংশ ছিল। আগেকার দিনে মানুষেরা মনে করতেন কলাপাতায় খাওয়া অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর।স্বাস্থ্যের জন্য, তাঁরা প্রাধান্য দিতেন পরিষ্কার, স্বাস্থ্যকর এবং তাজা খাবারের দিকে। সে কারণেই কলা পাতা ব্যবহারের চল ছিল।


আমাদের দেশে কলা পাতা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর এবং শুভ বলে বিবেচিত হয়। ঈশ্বরের কাছে নৈবেদ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে আজও পুজোয় আমরা কলাপাতা ব্যবহার করি। প্রশ্ন হ'ল কলা পাতা আমাদের কী কী উপকার করে?


কলাপাতায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে


কলা পাতায় রয়েছে স্বাস্থ্যকর পুষ্টিগুণ। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলি এর জনপ্রিয়তার মূল কারণ। কলাপাতায় উদ্ভিদ-ভিত্তিক যৌগ যেমন এপিগ্যালোটেকটিন গ্যালেট এবং অন্যান্য শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এগুলি আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কলা পাতা সরাসরি খাওয়া যায় না ঠিকই কিন্তু এতে খাবার রেখে খেলেও তা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। এতে রাখা খাবার পাতা থেকে পুষ্টিগুণ শোষণ করে। ফলে খাবার অতিরিক্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে বলেই বিশ্বাস করেন বহুজন।


 কলাপাতা জীবাণু নাশ করে


কলা পাতার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যই ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু থেকে খাবারকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। অনেকেই বিশ্বাস করেন পাতায় রাখা খাবারকে জীবাণু বা দূষণ-মুক্ত করে আপনাকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। ফলে কলা পাতায় নিয়মিত খাবার রেকে খেলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমে।


কলা পাতায় খাওয়া অবশ্যই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উপায়। খাওয়ার পর পাতাগুলি বাদ দিয়ে থালাটি সাধারণত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয় এবং অনেক সময় রাসায়নিকযুক্ত সাবানের কিছু অংশ থালায় লেগে থাকে। আমরা যখন কোনও প্লেটে বা থালায় সরাসরি খাবার রেখে খাই, অনেক সময় সেই রাসায়নিকগুলি খাবার শোষণ করে। ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। কলা পাতা ধুলো, ময়লা দূরে রাখতে পারে।