নয়াদিল্লি: সব ঠিক থাকলে আর কদিন পরেই চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করবে ভারতের চন্দ্রযান ৩। ২৩ আগস্ট চাঁদের মাটি ছোঁয়ার কথা। তার আগে বড়সড় ঘোষণায় চমক দিলেন ইসরোর চেয়ারম্যান। চন্দ্রযান ৩- এর ল্যান্ডার বিক্রম- নিয়ে সেই ঘোষণা। কোনও সেন্সর এবং দুটি ইঞ্জিন কাজ না করলেও বিক্রম সফট ল্যান্ডিং করবে বলে জানালেন ISRO চেয়ারম্যান এস সোমনাথ।
কীভাবে সম্ভব?
বিক্রম ল্যান্ডারের ডিজাইন এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে যে এই ধরনের পরিস্থিতি সামলে নিতে পারবে এটি। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্য়োগে আয়োজিত Chandrayaan-3: Bharat's Pride Space Mission- শীর্ষক আলোচনাসভায় এই কথা বলেছেন ISRO চেয়ারম্যান। তিনি বলেছেন, 'যদি সব ফেল করে যায়। সব সেন্সর ফেল করে যায়, কিচ্ছু কাজ না করে, তাহলেও বিক্রম ল্যান্ড করতে পারবে। এভাবেই সেটিকে ডিজাইন করা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেছেন, 'আমরা এটাও দেখেছি যে যদি বিক্রমের দুটি ইঞ্জিন ল্যান্ডিংয়ের সময় কাজ না করলেও ল্যান্ড করতে সমস্য়া হবে না।' তবে একটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেটা কী? ইসরো চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, আড়াআড়ি ভাবে রাখা বিক্রম ল্যান্ডারকে উল্লম্ব ভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করানো। অরবিটার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় আড়াআড়ি ভাবে এগোবে ল্যান্ডারটি। তারপর বেশ কয়েকটি ধাপে চাঁদের মাটিতে লম্বালম্বি অবতরণ করবে সেটি। এই জায়গাটিই অত্যন্ত জটিল। চন্দ্রযান ২ অভিযানের সময়েই এই সময়েই বিফল হয়েছিল ইসরো। যা হিসেব করা হয়েছে, যেভাবে জ্বালানি খরচের পরিকল্পনা হয়েছে-সবটা নিখুঁত ভাবে মেনে চলাই চ্যালেঞ্জ। তবে এতে সামান্য বদল এলেও যাতে ল্যান্ডারের সমস্যা না হয় সেদিকটাও ভেবে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরো চেয়ারম্যান।
১৪ জুলাই উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান ৩। ৫ আগস্ট চাঁদের কক্ষপথে ঢুকেছে এটি। আরও ৩টি de-orbiting manoeuvres-এর পর চাঁদের আরও কাছে আসবে এটি। তারপর জটিল অঙ্ক কষে তৈরি পদক্ষেপ মেনে চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করার কথা চন্দ্রযান ৩-এর। আজ, ৯ আগস্ট, এরপর ১৪ আগস্ট এবং তারপর ১৬ আগস্ট de-orbiting manoeuvres হওয়ার কথা। প্রতিটির মাধ্য়মে চাঁদের সঙ্গে দূরত্ব কমাবে চন্দ্রযান ৩। চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডারে রয়েছে ৪টি পে-লোড। রোভারে রয়েছে ৩টি পে-লোড।
আরও পড়ুন: রাতের আকাশে আলোক ঝর্ণা, বেনজির উল্কাপাতের সাক্ষী থাকতে চলেছে বিশ্ব