নয়াদিল্লি: নতুন সংসদ ভবন ভারতের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। একইসঙ্গে এই ভবন আত্মনির্ভর ভারত তৈরির অন্যতম সহায়ক হবে। বৃহস্পতিবার সংসদের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে গিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন ভূমিপুজোর মধ্যে দিয়ে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, স্বাধীন ভারতের অন্যতম প্রধান মঞ্চ সংসদ।


এদিন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর বক্তব্য রাখেন মোদি। তিনি বলেন, পুরনো সংসদ ভবন ১০০ বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল। তা ভারতের চাহিদা পূরণ করেছে। নতুন ভবন একবিংশ শতাব্দীতে ভারতের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। ১৩০ কোটি ভারতবাসীর গর্বের দিন আজ। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী আমরা। পুরনো এবং নতুনের মধ্যে সমতা বজায় রাখার উদাহরণ এই সংসদ ভবন। সময় এবং চাহিদা পূরণের জন্য পরিবর্তন প্রয়োজন। কীভাবে সংসদ ভবন কাজে লাগবে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। মোদির কথায়, সবথেকে বেশি উপকৃত হবেন সাংসদরা। একইসঙ্গে তাঁদের সঙ্গে যারা দেখা করতে আসবেন তাঁরাও উপকৃত হবেন। কারণ পুরনো ভবনের থেকে নতুন ভবন অনেক বড়। ১০০ বছরের পুরনো সংসদ ভবন অনেকবার সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু এবার নতুনের প্রয়োজন।

বিশ্বের বহু দেশ গণতন্ত্র নিয়ে শিক্ষা দেয়। তারা স্বাধীনতা, গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নির্বাচন এবং প্রশাসন নিয়ে কথা বলে। কিন্তু ভারতে স্বাধীনতা জীবনের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। বহু বছর ধরে চর্চার মাধ্যমে স্বাধীনতা ভারতবাসীর অঙ্গ হয়েছে। অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার বদল হয়নি। আমার মনে হয় ভারত একদিন স্বাধীনতার জননী হয়ে উঠবে বিশ্বের দরবারে।

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, আগামী ২৫ থেকে ২৬ বছর ভারতের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার ১০০ বছর হবে। তার মধ্যে ভারতকে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে হবে। বিশ্বের দরবারে প্রথম হতে হবে ভারতকে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের এই কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, সংসদের নতুন ভবনে লোকসভায় ৮৮৮ জন বসতে পারবেন। রাজ্যসভায় বসতে পারবেন ৩৮৪ জন। বর্তমান সংসদ ভবনে লোকসভায় ৫৪৩ জন এবং রাজ্যসভায় ২৪৫ জন বসতে পারেন। যৌথ অধিবেশনে একসঙ্গে ১২২৪ জন বসতে পারবেন সংসদের নতুন ভবনে। ৬৪ হাজার ৫০০ বর্গফুটের এই ভবন তৈরি করতে খরচ হবে ৯৭১ কোটি টাকা।