হায়দরাবাদ: তিন তালাককে ‘সংবিধান ও সভ্যতা বিরোধী’ আখ্যা দিলেন বেঙ্কাইয়া নাইডু। শনিবার এখানে এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে ন্যায়, সাম্য ও মর্যাদার আলোকে এই ‘লিঙ্গ বৈষম্যের’ অবসান ঘটানোর সময় এসে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রী।


সাংবাদিক সম্মেলনে বেঙ্কাইয়া বলেন, তিন তালাক আইন ও গণতান্ত্রিক ন্যায়, নীতির পরিপন্থী, এমন অভিমত ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। এ নিয়ে আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যেই অনেকটা সময় অতিক্রান্ত। সময় এসেছে যখন বৈষম্যের অবসান ঘটাতে, আইনের চোখে লিঙ্গ সমতা, ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে তিন তালাকের উচ্ছেদের জন্য দেশকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা অবশ্যই এর সমাপ্তি ঘটাব। তিনি এও বলেন, এমনকী মুসলিম মহিলারাও ন্যায়বিচার চাইছেন। কোনও লিঙ্গ বৈষম্য হওয়া অনুচিত। লিঙ্গ সমতা চাই। সংবিধানের চোখে সবাই সমান।

সুপ্রিম কোর্ট যখন ইস্যুটি খতিয়ে দেখছে, তখন যে কেউ সেখানে গিয়ে নিজের উদ্বেগ জানাতেই পারেন, বলেন তিনি।

অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রসঙ্গে সরকার প্রতিটি পদক্ষেপ স্বচ্ছতা মেনেই করবে, সংসদের সম্মতি নিয়ে চলবে বলেও জানান বেঙ্কাইয়া। বলেন, কোনও কোনও মহল থেকে এই মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে যে, সরকার ঘুরপথে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার চেষ্টা করছে।

প্রসঙ্গত গত ৭ অক্টোবর প্রথম সুপ্রিম কোর্টে মুসলিম সমাজে তিন তালাক, ‘নিকাহ হালালা’ ও বহুবিবাহে আপত্তি জানিয়ে লিঙ্গ সাম্য ও ধর্মনিরপেক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে প্রথাগুলি খতিয়ে দেখার কথা বলে কেন্দ্র। শীর্ষ আদালতে পেশ করা হলফনামায় কেন্দ্রীয় আইন ও ন্যয় মন্ত্রক লিঙ্গ সাম্য, ধর্মনিরপেক্ষতার মতো সাংবিধানিক নীতি, আন্তর্জাতিক আইন, বিভিন্ন ইসলামি দেশের চলতি বিবাহ আইনের প্রসঙ্গ টেনে বোঝানোর চেষ্টা করে যে, তিন তালাক ও বহুবিবাহ ইস্যু সুপ্রিম কোর্টের নতুন করে বিচার করা উচিত।

সুপ্রিম কোর্ট তার আগে জানিয়েছিল, তিন তালাকের সাংবিধানিক বৈধতার ওপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তারা আইনি স্তরে ও আমআদমির মধ্যে বৃহত্তর বিতর্ক চায়। কেননা তিন তালাকের অপব্যবহার করে স্ত্রীদের ওপর একতরফা ডিভোর্স চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।