দিল্লির লাল কেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। একের পর এক মৃত্যু। ছিন্নবিচ্ছিন্ন  দেহ চারিপাশে। সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযানে কয়েকদিন আগেই প্রথম জম্মু-কাশ্মীরের এক ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর তদন্ত যত এগিয়েছে তত উঠে এসেছে একের পর এক ডাক্তার যোগ। বিস্ফোরণের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই এই লালকেল্লা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে  বাজেয়াপ্ত হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক! এই ঘটনায় গোয়েন্দারা আটক করে এক মহিলা চিকিৎসককেও। গোয়েন্দাদের তখনই সন্দেহ ছিল, দেশের বিরাট এলাকা জুড়ে  সন্ত্রাসবাদের বড় নেটওয়ার্ক করে ফেলেছে সন্ত্রাসবাদীরা, যাদের  অংশ এই ডাক্তাররা। যাতে সাধারণ মানুষের সন্দেহ না হয়, তার জন্যই কি বেছে নেওয়া হয়েছিল ডাক্তারদের আর তলায় তলায় জড়ো করা হচ্ছিল বিস্ফোরক ? তদন্ত চলছে । ফরিদাবাদে বিস্ফোরক উদ্ধারের  ঘটনায় সোমবার ৩ চিকিৎসক-সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। 

Continues below advertisement

NDTV-র এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, জম্মু ও কাশ্মীর ও হরিয়ানার পুলিশের হাতে নাকি প্রমাণ এসে পৌঁছেছে, এই "হোয়াইট কলার" সন্ত্রাসী মডিউলের সঙ্গেই সরাসরি লাল কেল্লার সামনে  গাড়ি-বিস্ফোরণের ঘটনার যোগ রয়েছে। সামনে এসেছে  চমকপ্রদ তথ্য। এনডিটিভি-তে প্রকাশ, মঙ্গলবার সকালে পুলিশের শীর্ষ সূত্রে নিশ্চিত করেছে, যে গাড়িতে বিস্ফোরণটি হয়েছিল তা দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার একজন ডাক্তারের মালিকানাধীন ছিল। সেই ডাক্তারও এই মডিউলের একজন অংশ ছিলেন।

দিল্লি পুলিশ  Unlawful Activities (Prevention) Act-এর ১৬ এবং ১৮ ধারা প্রয়োগ করে মামলা করেছে। এছাড়া তারা Explosive Substances Act-র ৩ এবং ৪ ধারা, খুন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগও যুক্ত করেছে । NDTV-র এক প্রতিবেদনে প্রকাশ,  গত কয়েকদিনে  তদন্তকারীরা হোয়াইট কলার মডিউলের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, ডাঃ মুজাম্মিল শাকিল এবং ডাঃ আদিল রাথেরকে গ্রেফতার করে, সেই সঙ্গে মোট ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করে। তারপরই ওই গাড়ির মালিক ডাঃ উমর মহম্মদ আতঙ্কিত হয়ে লাল কেল্লার কাছে বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানা গেছে । পুলিশের ধারণা, হয়ত বিস্ফোরণের লক্ষ্য দিল্লির যে কোনও স্থান হতে পারত। কারণ গাড়িটি লাল কেল্লা থেকে শহরের কেন্দ্রস্থলের দিকে যাচ্ছিল। পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলির ধারণা, লাল কেল্লা সন্ত্রাসী হামলায় প্রচুর পরিমাণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করা হয়েছিল। অভিযানে উদ্ধার হওয়া পদার্থটি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে - যা সার তৈরিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় তবে বোমা তৈরিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।    

Continues below advertisement