নয়াদিল্লি: বিজেপির নতুন সর্বভারতীয় (BJP National President) সভাপতি নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন জে পি নাড্ডা (J P Nadda), খবর সূত্রে। এই মাসেই সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে জে পি নাড্ডার কার্যকাল শেষ হচ্ছে। সেপ্টেম্বরে বিজেপির পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনের সম্ভাবনা। তার আগে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের পাশাপাশির দলের দায়িত্বও সামলাবেন জে পি নাড্ডা।
বিশদ...
প্রথম মোদি-সরকারে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর তৃতীয় বার ফের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন জে পি নাড্ডা। শপথবাক্য পাঠ করেছেন। এর পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়, তা হলে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব কে সামলাবেন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নাড্ডাকে মন্ত্রিত্ব দিয়ে বিজেপির স্পষ্ট বার্তা---এর পর দলের সভাপতিত্বের রাশ ধরার জন্য নতুন কোনও মুখ বেছে নেওয়া হবে। এমনিতে, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর বিজেপির কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছিল নাড্ডাকে। পরে, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে, পুরোদস্তুর সর্বভারতীয় সভাপতি হন তিনি। অমিত শাহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন প্রশ্ন হল, নাড্ডা মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর কাকে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি করার কথা ভাবছে বিজেপি? এই ব্যাপারে একাধিক নাম শোনা যাচ্ছে।
যাঁদের নাম আলোচনায়...
প্রথমেই যে নামটি শোনা যাচ্ছে, তা হল বিনোদ তাওড়ে। এই মুহূর্তে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাওড়ের প্রভাব এমনই যে অনেকে তাঁর সঙ্গে বি এল সন্তোষের তুলনা করেন। তার উপর তাওড়ে অল্পবয়সি, সংগঠনের কাজকর্মও ভাল বোঝেন। সব মিলিয়ে এবার সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে তাঁর নাম উঠে আসছে। এর পর শোনা যাচ্ছে, বিজেপির ওবিসি মোর্চার প্রধান কে লক্ষ্মণ। তেলঙ্গানার বাসিন্দা কে লক্ষ্মণের নাম নিয়ে আলোচনার একাধিক কারণ রয়েছে। অনেকের মতে, অন্ধ্রপ্রদেশের পর দক্ষিণ ভারতের যে রাজ্যে লোকসভা ভোটের আগে সবথেকে বেশি নজর দিয়েছিল বিজেপি, তার নাম তেলঙ্গানা। সেখানকার রাজ্য বিজেপি সভাপতি ছিলেন লক্ষ্মণ। তাঁর মধ্যে আগ্রাসী মেজাজ এবং শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করার মতো ভারসাম্যপূর্ণ ব্যক্তিত্ব রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ভৈরো সিং শেখাওয়াতের ভাবশিষ্য তথা বিজেপি রাজ্যসভা সাংসদ ওম মাথুরের নামও। আরএসএস প্রচারক ওম মাথুরের সব কথার আগে-পরেই ঠোঁটে হাসি লেগে থাকে। এটি তাঁর ইউএসপি। দলের তরফে, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাতের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন তিনি। তা বাদে, আরও একটি জল্পনা রয়েছে। এবার হয়তো কোনও মহিলাকেও সর্বভারতীয় সভাপতি করতে পারে গেরুয়া শিবির। সেক্ষেত্রে স্মৃতি ইরানি অনেকটা এগিয়ে থাকতে পারেন, জল্পনা রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন:এক বিমানে দিল্লিযাত্রা ! প্রথমে আলাদা বসলেও পরে নীতীশের পাশের আসনে তেজস্বী