নয়াদিল্লি: উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন হঠাৎ। তার পর থেকে সেভাবে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে এবার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করলেন জগদীপ ধনকড়। একটি বই উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তিনি যা বললেন, তা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। (Jagdeep Dhankhar News)
মধ্যপ্রদেশের ভোপালে RSS-এর যুগ্মসচিব মনমোহন বৈদ্যর লেখা বই উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন ধনকড়। সেখানে রাজনীতিতে, উপরাষ্ট্রপতি থাকাকালীন নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “চার মাস পর এখন আর ইতস্তত করার কিছু নেই আমার।” (RSS News)
গত ২১ জুলাই উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এই প্রথম প্রকাশ্যে বক্তৃতা করলেন তিনি। বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধের জেরেই, মেয়াদ শেষ হওয়ার দু’বছর আগে তিনি ইস্তফা দেন বলে জানা যায় সেই সময়। সেই নিয়ে কম কাটাছেঁড়া হয়নি। সেই জল্পনা আরও উস্কেই গিলেন ধনকড়।
নিজের বক্তৃতায় ধনকড় বলেন, “ঈশ্বর না করুন, ভাষ্যের বেড়াজালে যে কেউ আটকে পড়তে পারেন। একবার চক্রব্যূহে আটকে পড়লে, বেরিয়ে আসা কঠিন হয়ে যায়।” এর পর যদিও হেসে ওঠেন ধনকড়। বলেন, “নিজের উদাহরণ দিচ্ছি না।”
ধনকড় আরও বলেন, “আমাদের প্রসিদ্ধ অতীতই উঠে এসেছে বইয়ে। যাঁরা ঘুমিয়ে আছেন, তাঁদের জাগিয়ে তুলবে এই বই। সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে। আজ এমন সময়ে দাঁড়িয়ে আমরা যে, নীতিবোধ, বুদ্ধিমত্তা এবং আধ্যাত্মিকতা থেকে কিছু মানুষ দূরে সরে যাচ্ছেন।” সেই সময়ই বিমানবন্দরে পৌঁছতে দেরি হয়ে যাবে বলে বার্তা পান ধনকড়। তাতে বলে ওঠেন, “বিমানের কথা ভেবে নিজের কর্তব্য থেকে সরতে পারি না আমি। সাম্প্রতিক ইতিহাসই তার প্রমাণ।”
বিজেপি সরকারের মধ্যপ্রদেশে ধনকড়কে স্বাগত জানাতে সরকারের কোনও মন্ত্রী বা দলের কোনও নেতাকে দেখা যায়নি। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহ সেই নিয়ে বিজেপি-কে কটাক্ষও করেন। তিনি বলেন, “প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতিকে নিয়ে প্রোটোকল মানছে না বিজেপি। ওরা ইউজ অ্যান্ড থ্রো নীতি অনুসরণ করে।”