সকালে প্রথমে অমিত শাহের বাড়িতে গেলেও তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি রাজ্যপালের। জানা যাচ্ছে, পরের দিকে হবে যে সাক্ষাৎ। সেই সাক্ষাতের আগেই বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন রাজ্যপাল। যে সাক্ষাৎ অবশ্য তাঁর সফরসূচিরই অঙ্গ ছিল।
আর রাজ্যপালের যে সাক্ষাৎ নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান কীভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক মহলে জল্পনাও।
যদিও রাজ্যপাল এই সাক্ষাৎকে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বলে দাবি করেছেন। নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করতেই তাঁর যাওয়া বলে এবিপি আনন্দকে জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলের যাবতী নজর অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যপাল কী বলেন সেই দিকেই। কারণ, বঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমাগত উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন জগদীপ ধনকড়।
২০১৯ সালের জুলাই মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর বিরোধও লেগেছে একাধিক। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার গুরুতর অভিযোগও করেন তিনি। কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো নাম করে একাধিক পুলিশ অফিসারের রাজ্য সরকারের কথায় নিজেদের আদর্শচ্যুত হয়ে কাজ করার মতো ঘোরতর অভিযোগ এনেছিলেন তিনি।
রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের তীব্র বিরোধীতা যতবার করেছেন, ততবারই তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। রাজ্যের শাসকদলের পক্ষে বিজেপি-র হয়ে কথা বলার অভিযোগও আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও যাবতীয় বিবাদের মাঝেই কয়েকদিন আগে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ সেরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কয়েকমাসের মধ্যেই রাজ্যে হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচন। সবাই যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে তিনি সবরকম চেষ্টা করবেন বলেও আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন বঙ্গের রাজ্যপাল। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর রাজ্যপাল কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে সব মহল।