কলকাতা: পৌষ শেষ হওয়ার আগেই উধাও শীত। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী তিনদিন এই পরিস্থিতিই বজায় থাকবে। ভোরে ও রাতে হালকা শীতের আমেজ থাকলেও, বেলা বাড়লে চড়বে পারদ। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায়, বাড়বে অস্বস্তি। আগামী সপ্তাহে ফের পারদ পতনের সম্ভাবনা।


নতুন বছরেই বেপাত্তা শীত। গতকাল কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। গত কয়েকদিন ধরেই এই ধারা অব্যাহত। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন একই রকম পরিস্থিতি থাকবে। যদিও মকর সংক্রান্তির আগে ফের শীত ফিরবে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। কিন্তু আদৌ কি ফিরবে ঠান্ডার দাপট? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাত্‍, চারদিনে তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বেড়েছে। গত সপ্তাহ থেকে জম্মু-কাশ্মীরে ঢুকছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। বঙ্গোপসাগর থেকে আসা পূবালি হাওয়ার সঙ্গে সংঘাতের জেরে উত্তুরে হাওয়া ঢোকায় বাধা সৃষ্টি হয়েছে। সেই কারণেই বাড়ছে তাপমাত্রা। শীতের পোষাক পরা দায় হয়ে উঠেছে। আবহাওয়ার এই বেখেয়ালি মনোভাবে ভরা পৌষেই এবার বসন্তের স্বাদ পাচ্ছেন শহরবাসী।

কলকাতার পাশাপাশি বাড়তে শুরু করেছে জেলার তাপমাত্রাও। বাঁকুড়া, দিঘা, বর্ধমান এবং ক্যানিং-এর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পুরুলিয়া এবং পানাগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি। দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৪ ডিগ্রি, কোচবিহারে ১১, জলপাইগুড়িতে ১২.৮, কালিম্পং-এর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৫, শিলিগুড়ি ১১.৬ ডিগ্রি।