শান্তিপুর : হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তার পরেই জামাইষষ্ঠী। তার আগে আজ, বৃহস্পতিবার প্রায় এক মাস পর খুলল নদিয়ার শান্তিপুরের তাঁতের হাঁট। প্রশাসনিক নির্দেশিকা মেনেই খোলা হয়েছে হাট। কিন্তু, প্রথম দিনে বিক্রি নেই সেঅর্থে। তা নিয়ে কোনও কোনও বিক্রেতার মধ্যে হতাশা থাকলেও, অনেকেই খুশি এই কারণে যে, অন্তত এতদিন পর বিক্রিবাটা শুরু হয়েছে।


শান্তিপুর শহরকে কেন্দ্র করে মূলত তিনটি বড় হাট রয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ এই হাটগুলির সঙ্গে যুক্ত। তাঁত শিল্প ও ব্যবসায়ীদের আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রশাসন বৃহস্পতি ও রবিবার সকাল ৭ টা থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত বিধি-নিষেধ মেনে হাট খোলার সম্মতি দিয়েছে।


এই পরিস্থিতিতে আজ হাট খোলে। কিন্তু, ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল কম। এনিয়ে কাপড় বিক্রেতা বাসুদেব ঘোষ বলেন, হাট খুলেছে। কিন্তু, বউনি নেই। হাটটা চলে বেশিরভাগই বাইরের লোকের উপর নির্ভর করে। ট্রেন চলছে না। বাইরের খরিদ্দাররা আসতে পারছেন না। তাই বেচাকেনা নেই। গত বছরও একই অবস্থা হয়েছিল। তাঁতিদের জন্য কেউ ভাবেন না।


অপর এক কাপড় বিক্রেতা বিভাস ঘোষ জানান, এক মাস পর হাট খোলায় খুবই আনন্দিত। গত বছর ৬ মাস বন্ধ ছিল হাট। এবার এক মাস পর হাট খোলায় তাঁতি মহল খুবই আনন্দিত। আমরা নিয়ম মেনে হাট করব।


শান্তিপুরের তাঁত শাড়ির জগৎ জোড়া নাম। এখান থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে তাঁতের শাড়ি। এরকম একটা হাটের করোনা পরিস্থিতিতে এই অবস্থা নিয়ে হাটের মালিক বিভাস ঘোষ বলেন, গত বছর দীর্ঘদিন লকডাউন চলেছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর হাটটা কিছুদিনের জন্য খুলেছিল। আবার লকডাউন(বিধি-নিষেধ)। আজ যে হাটটা খুলেছে তাতে খুব একটা ব্যবসা হবে বলে আশা করি না। তাঁতিরাও করেন না। কিন্তু, লকডাউনের ফলে শিল্পীদের হতাশায় দিন কাটছিল। হাটটা খোলায় তাঁরা হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। এই আশায় আমরা থাকতে পারি।