নয়াদিল্লি: হাসপাতালে ঢুকে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jamia Milia Islamia) এক পড়ুয়ার (student) উপর গুলি (shot) চালানোর অভিযোগে শোরগোল দিল্লিতে (delhi)। অভিযুক্ত জামিয়ারই আর এক পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা।
কী ঘটেছিল?
আহতের নাম নৌমান আলি। তাঁর মাথার স্ক্যাল্পে আঘাত লেগেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত কাল নৌমান হাসপাতালে এক বন্ধুকে দেখতে এসেছিলেন। নোমান চৌধরি নামে ওই বন্ধু জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সূত্রের খবর, জামিয়ার লাইব্রেরিতে দুই দল ছাত্রের সংঘর্ষের জেরেই আহত হয়েছিলেন নোমান। তাঁকে দেখতে এসেছিলেন নৌমান। অভিযোগ, প্রতিপক্ষের এক পড়ুয়া, জালাল, তাঁর দলবল নিয়ে সে সময়ই ওই হাসপাতালে আসেন। জরুরি বিভাগের বাইরেই তাঁরা নৌমানের উপর গুলি চালান বলে অভিযোগ। তবে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, এই গুলিকাণ্ডে তােদের কোনও কর্মী জখম হয়নি। আঘাত লাগেনি অন্য কোনও রোগীরও। নৌমানও যে বিবৃতি দেওয়ার মতো অবস্থায় রয়েছেন, সে কথা জানিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল। তবে আপাতত তাঁকে এইমস-র ট্রমা সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে। কী হয়েছিল জানতে তদন্ত করছে। পরিস্থিতি এই মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণে, খবর দিল্লি প্রশাসনের।
নানা প্রশ্ন...
খোদ রাজধানী শহরে এমন ঘটনায় কেঁপে উঠছেন অনেকেই। বিশেষত এতে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় আরও উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। ছাত্রদের মধ্যে বচসা থেকে গুলিচালনার ঘটনা, এত বড় কাণ্ড ঘটল কী ভাবে? আগ্নেয়াস্ত্র হাতে এল কী ভাবে? অভিযুক্তরা হাসপাতালে ঢুকে গুলি চালালই বা কী ভাবে? তা হলে কি যথেষ্ট নজরদারি ছিল না? প্রশ্ন বহু, পুলিশি তদন্তে কিছু উত্তর স্পষ্ট হবে। কিন্তু ঘটনা হল, এই অভিযোগ নতুন নয়। গত অগাস্টেও দিল্লির জে জে কলোনি এলাকায় শ্যুটআউটের ঘটনা তোলপাড় ফেলেছিল রাজধানীতে। সেবার ২ জনকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠএ। গুরুতর জখম হয়েছিলেন আরও এক জন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, মুখ ঢাকা দুই দুষ্কৃতী জে জে কলোনি এলাকায় এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। তাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। হামলার কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা। কেন বার বার এমন ঘটনা ঘটছে দিল্লিতে? নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনি কি তবে ঢিলে হয়ে পড়েছে?
প্রশ্ন উঠছে। উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন:'আমার তো মা নেই, আপনারাই আমার মা' চতুর্থীতে বৃদ্ধাশ্রমে আবেগে ভাসলেন মুখ্যমন্ত্রী