নয়া দিল্লি: এবার ভূস্বর্গ যেন সত্যিই ভয়ঙ্কর। পাহাড় থেকে নেমে আসা প্রবল জলের স্রোতে তছনছ সব। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, বাড়ি সব ভয়াল নদীর গ্রাসে শেষ। মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। হড়পা বানে ভেঙে পড়ল ১৫টি বাড়ি। বন্ধ করে দেওয়া হল বৈষ্ণোদেবী যাত্রা। ইতিমধ্যেই ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে বৈষ্ণোদেবী যাত্রার সময় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
আজ সকালে বৈষ্ণো দেবী মন্দিরে যাওয়ার পথে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে, যার ফলে পাঁচ বছরের এক মেয়ে এবং ১৫ বছরের এক কিশোর সহ বেশ কয়েকজন আহত হন। যাত্রা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। মন্দির বোর্ডের তরফে সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, "অর্ধকুয়ারিতে ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয়ের কাছে একটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। অনেকের আহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধার অভিযান চলছে"।
পরিস্থতি এতটাই গুরুতর আকার নিয়েছে যে ভূমিধসের ভয়ে বন্ধ রাখা হয় জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক। ডোডা জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলি কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। নদীর জলস্তর বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। রাতভর বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঝুঁকি এড়াতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে।
জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন যে জম্মু প্রদেশের অনেক অংশের পরিস্থিতি "বেশ গুরুতর"। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জম্মু যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। তবে, পরে তিনি এক্স-এ পোস্ট করেছিলেন যে জম্মু বিমানবন্দর বন্ধ থাকার কারণে তিনি জম্মুতে পৌঁছতে পারবেন না। সোশাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লেখেন, "আমি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।"
তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেছেন।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ধারালি, কিশতওয়ার, কাঠুয়ার পর মঙ্গলবার ডোডা জেলায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে গেছে কমপক্ষে দশটি বাড়ি। প্রবল বৃষ্টির জেরে কাটরা-সাঙ্গার রেলস্টেশনে ভূমিধসের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে রেল পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের ভদ্রওয়া এলাকার ঐতিহাসিক শিবমন্দির ও পাণ্ডবগুহা মন্দিরেও জল ঢুকে পড়েছে। মন্দিরের পুরোহিত এবং স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।