শ্রীনগর : ফের অশান্ত উপত্যকা। এনকাউন্টারে খতম এক জঙ্গি। শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের বদগামে নিরাপত্তাবাহিনী গুলি করে খতম করে ওই জঙ্গিকে। জানিয়েছে পুলিশ।


এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এক জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর আসে। তার ভিত্তিতে বদগাম জেলার মোচুয়া এলাকায় তল্লাশি শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী। সেই সময় নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গি। পাল্টা জবাব দেওয়া হয় বাহিনীর তরফে। শুরু হয় উভয়পক্ষের মধ্যে এনকাউন্টার। এক জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। জঙ্গির কাছ থেকে একটি একে ৪৭ রাইফেল ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।


খতম জঙ্গির পরিচয় বা কোন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। এলাকায় তল্লাশি অভিয়ান চলছে।


এর আগে গত জুন মাসে লস্কর ই তৈবার কমান্ড্যার নাদিম আব্রার ও পাকিস্তানের আরও এক জঙ্গিকে খতম করেছিল ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী। শ্রীনগরের মাল্লুরা পারিম্পোরার ঘটনা। কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার সংবাদ সংস্থা ANI-কে জানিয়েছিলেন, শ্রীনগর এনকাউন্টারে দুই জঙ্গিকেই খতম করা হয়েছে। হাইওয়েতে জঙ্গিরা হামলা চালাতে চলেছে বলে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য ছিল। এর ভিত্তিতে যৌথ অভিযান চালায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফ। পারিম্পোরায় নাকা তল্লাশির সময় একটি গাড়িকে থামানো হয়। গাড়ির আরোহীদের পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। পিছনে বসে থাকা এক ব্যক্তি ব্যাগ খুলে গ্রেনেড বের করার চেষ্টা করছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরে ফেলে যৌথবাহিনী। গাড়ির চালক এবং ওই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মাস্ক খুলতে বলা হয়। দেখা যায়, তাদের মধ্যে একজন লস্কর ই তৈবার শীর্ষ কমান্ড্যার আব্রার ।


আইজিপি আরও জানান, জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ, সিআরপিএফ এবং সেনা একযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার কাছ থেকে একটি গ্রেনেড এবং পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। জেরার মুখে সে জানায়, মালহুরা এলাকায় একটি বাড়িতে সে একে-৪৭ রাইফেল লুকিয়ে রেখেছে। অস্ত্রটি উদ্ধারের জন্য তাকে সঙ্গে করে সেই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তল্লাশি বাহিনী যখন ওই বাড়িতে ঢুকছিল, তখন সেই বাড়িতে লুকিয়ে থাকা তার এক সঙ্গী গুলি চালাতে শুরু করে। প্রাথমিকভাবে তিন সিআরপিএফ জওয়ান জখম হন। আঘাত পায় আব্রার। এর পর পজিশন নেয় বাহিনী। পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। পাল্টা জবাব দিতেও শুরু করে। সেই সময় এনকাউন্টারে খতম হয় বাড়ির ভেতরে থাকা জঙ্গি।