শ্রীনগর : ফের উপত্যকায় উত্তেজনা। এদিন সকালে শ্রীনগরে শহিদ স্মৃতিসৌধে সমর্থকদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়েছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। সেই সময় চরম বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। পুলিশকর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীকে থামানোর চেষ্টা করেন। সেই ঘটনার ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পোস্টে তিনি লিখেছেন, "এই শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি আমি, কিন্তু আমি আরও কঠোর জিনিস দিয়ে তৈরি এবং তা থামানো যায়নি।" তাঁর সংযোজন, "আমি বেআইনি কিছু করিনি। আইনের এই রক্ষকদের বলতে হবে কোন আইনবলে তাঁরা আমাদের ফতিহা থেকে আটকানোর চেষ্টা করছিলেন।"
ওমর আবদুল্লাকে এভাবে বাধাদানের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, "শহিদদের সমাধিস্থলে যাওয়াতে কী ভুল আছে ? এটা শুধু দুর্ভাগ্যজনকই নয়, এটা নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকারও ছিনিয়ে নেওয়া। আজ সকালে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে যেটা ঘটেছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। মর্মান্তিক। লজ্জাজনক।"
কী ঘটনা?
তাঁকে এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স অন্যান্য নেতাদের শহিদদের সমাধিস্থলে যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। সেই প্রচেষ্টা প্রতিহত করে পাঁচিল টপকে নিহত কাশ্মীরি প্রতিবাদীদের প্রতি এদিন শ্রদ্ধা জানান জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। ১৯৩১ সালে ১৩ জুলাই মহারাজা হরি সিংহের ডোগরা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছিলেন তাঁরা। ১৩ জুলাই হত্যাকাণ্ডের বার্ষিকী উপলক্ষে তাঁকে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের শীর্ষ নেতাদের শহিদদের সমাধিস্থল বা মাজার-ই-শুহাদা পরিদর্শনে যেতে বাধা দেওয়ার একদিন পরই মুখ্যমন্ত্রী এই পদক্ষেপ নেন।
নেপথ্যে
প্রতি বছর ১৩ জুলাই পুলিশ শহিদ স্থলে গান স্যালুট দিত এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করত। রাজনৈতিক নেতারা ১৯৩১ সালে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানাতেন এবং জনসভা করতেন। কিন্তু ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকে এবং রাজ্যকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার পর থেকে, প্রশাসন এই শহিদ বেদিতে কোনও অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করেছে।