Jammu And Kashmir: ফের অশান্ত জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতোয়াড় জেলা। বুধবার সকালে কিশতোয়াড়ের ছতরু এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে শুরু হয়েছে গুলির লড়াই। তিনজন জঙ্গির লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী ও সিআরপিএফ ছতরু এলাকায় একসঙ্গে অভিযান শুরু করার পরেইএই গুলির লড়াই শুরু হয়েছিল। গোয়েন্দা সূত্রে এই এলাকায় জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর আগেই গোপনে পেয়েছিল নিরাপত্তাবাহিনী। সেই সূত্রেই শুরু হয়েছিল এই সার্চ অপারেশন। বুধবার ভোরের দিকে এই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছিল। এরপরই নিরাপত্তাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়েই গুলি চালায় জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তাবাহিনীও। শুরু হয় দু'পক্ষের গুলির লড়াই।
কিশতোয়াড় জেলার এই গুলির লড়াইয়ের খবর এক্স মাধ্যমে জানিয়েছে হোয়াইট নাইট কর্পস। সূত্রের খবর, এখনও অভিযান চলছে। লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। গোটা এলাকা ঘিরে ফিরেছে সেনাবাহিনী। এই ঘটনায় এখনও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কিশতোয়াড়ে জঙ্গি এবং নিরাপত্তাবাহিনীর গুলির লড়াইয়ের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও এই অঞ্চলে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। অনেকক্ষেত্রে জখম হয়েছেন নিরাপত্তাকর্মীরাও। তবে সাফল্যও এসেছে। জঙ্গিরা ধরা পড়েছে, কিংবা খতম হয়েছে। চলতি বছর ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলা এবং তারপর সেনাবাহিনীর কড়া জবাব দিয়ে অপারেশন সিঁদুর, তারপর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে চলছে জঙ্গি দমন অভিযান। ইতিমধ্যেই উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, সেনাবাহিনী। বিভিন্ন যৌথ অভিযানে বড়সড় সাফল্যও এসেছে। পহেলগাঁও হামলার পিছনে থাকা জঙ্গিরাও সেনার এইসব অভিযানের মাধ্যমেই খতম হয়েছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের কাছে বৈসারন উপত্যকায় পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। মারা যান মোট ২৬ জন। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন পর্যটক। আর একজন স্থানীয় টাট্টু ঘোড়াচালক। বেছে বেছে পুরুষ হিন্দু পর্যটকদের টার্গেট করেছিল জঙ্গিরা।