শ্রীনগর: দিল্লিতে তৃতীয় নরেন্দ্র মোদি সরকারের শপথগ্রহণের দিন হামলা হয়েছিল। তিন দিনের মাথায় ফের জঙ্গি হামলায়  রক্তাক্ত হল উপত্যকা। এবার একসঙ্গে জোড়া হামলায় চালাল জঙ্গিরা। মঙ্গলবার রাতে প্রথমে জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া এবং পরে ডোডা হামলা চালায় তারা। এই হামলায় আধা সামরিক বাহিনীর এক জওয়ান মারা গিয়েছেন। সব মিলিয়ে আহত হয়েছেন ছয় জন। রবিবার সন্ধে থেকে এই নিয়ে তৃতীয় বার হামলা চালাল জঙ্গিরা। (Jammu and Kashmir Terror Attack)


প্রথম হামলাটি হয় কাঠুয়ার সইদা সুখল গ্রামে। মঙ্গলবার সন্ধেয় সেখানে হামলা চালায় জঙ্গিরা, তাতে গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় এক নাগরিক। খবর পেয়েই এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নামে সেনা। মোট দুই জঙ্গি মিলে ওই হামলা চালায় বলে জানা যায়। তল্লাশি অভিযান চলাকালীন সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। দু'পক্ষের মধ্যে গুলিবর্ষণ চলাকলীন এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। বুধবার সকালে মারা যায় দ্বিতীয় জঙ্গি। (Terror Attack in Jammu & Kashmir)


পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ওই দুই জঙ্গি উপত্যকায় প্রবেশ করেছিল বলে অনুমান সেনার। উপত্যকার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঠুয়ায় গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে জল চায় জঙ্গিরা। তাদের দেখে সন্দেহ জাগে স্থানীয়দের মনে। সেই নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হলে জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে, যাতে এক বাসিন্দা আহত হন। 


আরও পড়ুন: Army Chief Of India: দেশের নতুন সেনাপ্রধান হচ্ছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী


জম্মুর ডোডা এলাকা এমনিতে শান্তিপূর্ণ বলেই পরিচিত। মঙ্গলবার গভীর রাতে সেখানকার ভান্ডেরওয়া-পাঠানকোট রোডের উপর সেনার যৌথ চেকপোস্টে প্রথম হামলা চালায় জঙ্গিরা। তাদের তরফে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু হলে, পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে কাশ্মীর টাইগার্স নামের একটি জঙ্গি সংগঠন। পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তাদের সংযোগ রয়েছে। 


সব মিলিয়ে পাঁচ জওয়ান-সহ এক নাগরিক আহত হয়েছেন এই জোড়া হামলায়। আহত হয়েছেন এক এসপিও। ডোডায় জঙ্গিদের গুলিতে আধা সামরিক বাহিনীর এক জওয়ান মারা গিয়েছেন। বুধবার সকালেও গুলি বিনিময় অব্যাহত রয়েছে উপত্যকায়।  যে জওয়ান মারা গিয়েছেন, তিনি সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সে কর্মরত ছিলেন। তাঁকে কবীর দাস বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মারা যান।



এর আগে, রবিবার দিল্লিতে যখন প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন মোদি, সেই সময় শিব খোরি মন্দির থেকে কাটরা যাওয়ার পথে রিয়াসিতে পুণ্যার্থীদের বাসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এলোপাথাড়ি গুলিতে নিয়ন্ত্রণ হারান বাসের চালক। পুণ্যার্থীদের নিয়ে খাদে গিয়ে পড়ে বাসটি। সেবার ১০ জন মারা যান। আহত হন প্রায় ৪০ জন।