নয়া দিল্লি: পহেলগাঁওতে গণহত্যার পর নিরপত্তার স্বার্থে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হল কাশ্মীর উপত্যকার। ৪৮টি পর্যটনস্থল পর্যটকদের জন্য বাদগামের ইউসমার্গ, তুসাময়দান ও দুধপাথরি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্ধের তালিকায় রয়েছে জনপ্রিয় আহারওয়াল জলপ্রপাত, কৌসরনাগ, কুপওয়াড়ার বাঙ্গুস উপত্যকা। পর্যটকদের জন্য দরজা বন্ধ সিন্থান টপের। তালিকায় রয়েছে রামপোরা, রাজপোরা, ভেরিনাগ, আস্তানমার্গ ভিউ পয়েন্ট, আস্তানমার্গ প্যারাগ্লাইডিং। এছাড়াও রিসর্ট, রেস্তোরাঁ, হোটেলও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জঙ্গি হামলার পর পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে পহেলগাঁও। বৈসরন ভ্যালি, বেতাব ভ্যালি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। রাস্তায় টহল দিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। ফাঁকা হোটেল। ভরা মরশুমে ব্যবসা লাটে উঠেছে। কাজ হারিয়েছেন প্রায় ৮০ শতাংশ হোটেলকর্মী। রোজগার নেই ট্যাক্সি চালক ও ঘোড়াওয়ালাদের।
পহেলগাঁওকাণ্ডের সাতদিনের মাথাতেও অধরা জঙ্গিরা। হামলাকারী জঙ্গিদের স্কেচ সামনে আসলেও ধরা পড়েনি কেউ। এই আবহে মাথাচাড়া দিচ্ছে ২টি সম্ভাবনা। এক, তবে কি কাশ্মীরের উপত্যকাতেই কোথাও লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা? নাকি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পালিয়ে গিয়েছে তারা? জঙ্গিদের ধরতে ইতিমধ্যেই চলছে তল্লাশি অভিযান। বিভিন্ন জঙ্গল-সহ স্থানীয়দের বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনা বাহিনী। অন্যদিকে, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার পর ফের জম্মু কাশ্মীরকে অশান্ত করার চেষ্টা। পরপর চারদিন সীমান্তে গুলিবর্ষণ পাক সেনার। বিনা প্ররোচনায় গতকাল মধ্যরাতে কুপওয়াড়া ও পুঞ্চ জেলার কাছে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলি ছুড়তে শুরু করে পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী।
অন্যদিকে, জল-স্থল-আকাশ পহেলগাঁওয়ের হামলার বদলা নিতে স্ট্যান্ডবাই মোডে ভারতের তিন সামরিক বাহিনী। গতকালই নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, পহেলগাঁওয়ের হামলার পর ভারতের রক্ত ফুটছে। আর ভারতের এই গর্জনে দিশেহারা হয়ে, পরমাণু হামলার হুমকি দিচ্ছে পাকিস্তান। সেদেশের রেলমন্ত্রী হানিফ আব্বাসি বলেছেন - "আমাদের কাছে ১৩০টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে, সেগুলিকে শুধুমাত্র মডেল বানিয়ে রাখার জন্য নয়।"