সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, পহেলগাঁও: পহেলগাঁওকাণ্ডের (Kashmir Terror Attack) সাতদিনের পার। এখনও অধরা জঙ্গিরা। হামলাকারী জঙ্গিদের স্কেচ সামনে এসেছে। তবে তারপরেও ধরা পড়েনি কেউ।
এখনও অধরা জঙ্গিরা: ২২ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল। সাত দিন আগের এমনই এক মঙ্গলবার জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল ২৬টি প্রাণ। সেই ঘটনায় চার জঙ্গি জড়িত বলে জানা যায়। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে তাদের স্কেচ। বিভিন্ন জঙ্গল-সহ স্থানীয়দের বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনা বাহিনী। কিন্তু ঘটনার সাত দিন পেরিয়ে গেলেও কেই গ্রেফতার হয়নি। এই আবহে মাথাচাড়া দিচ্ছে ২টি সম্ভাবনা। এক, তবে কি কাশ্মীরের উপত্য়কাতেই কোথাও লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা? নাকি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পালিয়ে গিয়েছে তারা? জঙ্গিদের ধরতে ইতিমধ্য়েই চলছে তল্লাশি অভিযান। অন্য়দিকে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পহেলগাঁও হামলার তদন্তে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে NIA টিম। হামলার জায়গায় পৌঁছে হামলাকাণ্ডে পুনর্নির্মাণ করলেন গোয়েন্দারা। হামলার সময় বৈসরনে উপস্থিত সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ NIA গোয়েন্দাদের। হামলার ভিডিও ফুটেজ দেখে টেকনিক্যাল এভিডেন্স জোগাড় করছে NIA।
সূত্রের খবর, পর্যটকদের ওপর গুলি চালিয়েছিল ৪ জঙ্গি। আরও ৩ জঙ্গি পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছিল। এদের মধ্যে আদিল গুরু নামে এক পাক জঙ্গি কয়েক বছর আগে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করে। ফের ২০১৮ সালে পাকিস্তানে চলে যায়।হামলাকারী জঙ্গিদের মধ্যে একজনের নাম ছিল আসিফ শেখ। আদিল ও আসিফের সঙ্গে দুই পাক জঙ্গিও ছিল। হামলার দায় স্বীকার করে লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট TRF।
কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার জেরে শ্রীনগরের বেশিরভাগ দোকানপাঠই রয়েছে বন্ধ। শ্রীনগরের খায়ামচক, অত্য়ন্ত জনপ্রিয় এই জায়গাতেও বেশিরভাগ দোকানে ঝুলছে তালা। ব্য়বসায়ীদের দাবি, পর্যটক না আসাতেই বন্ধ রাখা হয়েছে দোকানপাঠ। এদিকে ঘটনার সাতদিন পর গতি বাড়ল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তদন্তের। জঙ্গিদের খোঁজে কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে লাগাতার তল্লাশি শুরু হয়েছে। UAPA ধারায় দায়ের হয়েছে মামলা। শ্রীনগরের ২৬টি ঠিকানায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছে শ্রীনগর পুলিশ। শ্রীনগর পুলিশ জানিয়েছে, সন্ত্রাসে মদতের যাবতীয় পরিকাঠামোকে নষ্ট করাই এই অভিযানের উদ্দেশ্য।