শ্রীনগর: ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই নিরাপত্তা বাহিনীর। কাশ্মীরের একাধিক এলাকায় আলাদা আলাদা এনকাউন্টারের ঘটনা। গুলির লড়াইয়ে শনিবার সকাল পর্যন্ত নিহত চার জঙ্গি (terrorist)।


প্রথম এনকাউন্টারটি (encounter) হয়েছে পুলওয়ামার (pulwama) চেওয়াকলান এলাকার। জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জঙ্গির। নিহতরা নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ ই মহম্মদের (JeM) সদস্য বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। কাশ্মীরের হান্দওয়ারা ও গান্ধেরবাল এলাকাতেও জঙ্গি-নিরাপত্তা বাহিনী গুলির লড়াই হয়েছে।


গান্ধেরবাল (Ganderbal) এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে যে জঙ্গি মারা গিয়েছে, সে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তইবার সদস্য বলে জানানো হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে। হান্ডওয়ারাতেও (Handwara) নেচামা এলাকায় এনকাউন্টার হয়েছে। সেখানেও এক লস্কর ই তইবা (LeT) জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। আরও একাধিক এলাকায় জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। 


 






কয়েকদিন আগেই শ্রীনগরে জঙ্গিরা গ্রেনেড হামলা করেছিল। শ্রীনগরের (srinagar) আমিরা কাদাল বাজারে গ্রেনেড (grenade) হামলা করেছিল জঙ্গিরা। ভরা বাজারে গ্রেনেডের আঘাতে একাধিক সাধারণ নাগরিক গুরুতর জখম হন। পরে জখমদের মধ্যে দুই জন মারা যান। মৃতদের মধ্যে ছিলেন এক তরুণীও। ওই হামলায় জখম হয়েছিলেন জম্মু কাশ্মীর পুলিশের এক জওয়ানও। ঘটনার পরেই এলাকা কর্ডন করেছিল পুলিশ। শুরু হয়েছিল তদন্তও। দ্রত অপরাধীদের ধরতে সাহায্য নেওয়া হয়েছিল একাধিক আধুনিক প্রযুক্তির (modern technology)। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার কিছুদিন পরেই জম্মুর উধমপুরে জেলা আদালত চত্বরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ওই ঘটনায় মারা যান এক ব্যক্তি।


আরও পড়ুন: শ্রীনগরে গ্রেনেড হামলায় পুলিশের জালে ২