কলকাতা : শৈশব থেকে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত, ভগবান কৃষ্ণের পুরো জীবনটায় ধর্মীয়, শৃঙ্খলার শিক্ষায় পূর্ণ। রয়েছে বিপ্লব ও জীবনে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার অধ্যায়। জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই বৈপ্লবিক মতামত ধারণ করতেন তিনি। জীবনে একটাই উদ্দেশ্য নিয়ে চলার পরিবর্তে, পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের ভূমিকা বদলাতে থেকেছেন তিনি। দ্বারকার রাজ হওয়া সত্ত্বেও, তিনি মহাভারতের যুদ্ধের সময় অর্জুনের রথের চালক হয়েছিলেন। দুর্যোধনের পক্ষ নেওয়া নিজের বাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এহেন কৃষ্ণের জীবন থেকে একাধিক শিক্ষা নেওয়া যায়...
কঠিন সময়ে কখনও বন্ধুকে ছেড়ে যাওয়া উচিত নয়
প্রত্যেক কঠিন মুহূর্তে পাণ্ডবদের সাহায্য করে গেছেন কৃষ্ণ। তিনি ছিলেন ভাল বন্ধুর প্রকৃত উদাহরণ। যিনি সবসময় কঠিন সময়ে বন্ধুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের সাহায্য করেছেন। তিনি এই তত্ত্ব প্রমাণ করেছেন যে, বন্ধুত্বে কোনও শর্ত থাকতে পারে না। যাঁরা কঠিন সময়ে বন্ধুর পাশে দাঁড়ান, তাঁরাই প্রকৃত বন্ধু।
সবসময় নতুন জিনিস শেখার চেষ্টা করুন
মহাভারতের সবথেকে মহান যোদ্ধা ছিলেন অর্জুন। তিনি শুধুমাত্র তাঁর গুরুদের কাছ থেকে নয়, চ্যালেঞ্জিং মুহূর্তের অভিজ্ঞতা থেকেও অনেক কিছু শিখেছেন। এটা প্রত্যেক ছাত্রের ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ পাঠ। শিক্ষকদের ছাড়াও, নিজেদের ভুল-ত্রুটি ও ব্যর্থতা থেকে শেখা উচিত।
দক্ষ-কৌশল বানানো ও তার প্রয়োগ
ভগবান কৃষ্ণের কৌশল না থাকলে মহাভারতের যুদ্ধে পাণ্ডবরা কখনই কৌরবদের হারাতে পারতেন না। এমনকী বর্তমান সময়েও, পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার আগে সুনির্দিষ্ট কৌশল তৈরি করা প্রয়োজন।
কখনই হাল ছাড়া যাবে না
কৃষ্ণের জীবন আমাদের শিক্ষা দেয় যে, কঠিন সময়ে বা যখন সাফল্য আসছে না তখন সাহস হারানো উচিত নয়। ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। ভয়কে জয় করতে পারলে, তবেই সাফল্য আসবে।
গোঁড়ামি চর্চা করবেন না
যখন কৃষ্ণ জানতে পারেন যে তাঁর বন্ধু কুঁড়েঘরে থাকেন, তখন এটাকে প্রাসাদে পরিণত করে তোলেন তিনি। সুদামার জানার আগেই। এটা আমাদের শিক্ষা দেয় যে, ঔদ্ধত্য বন্ধুত্বে কাম্য নয়।