ওয়াশিংটন : চুক্তি মেনে ৩১ অগাস্টের মধ্যে আমেরিকা সেনাকে ফিরে যেতে হবে বলে সোমবারই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে তালিবানরা। ডেডলাইন না মানলে ফল ভোগার কথাও বলা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আজ, মঙ্গলবার জি-৭ গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের উদ্ধারের ব্যাপারে হতে পারে আলোচনা। তালিবানরা আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পর এই ভার্চুয়াল বৈঠকই প্রথম কর্মসূচি হতে চলেছে যেখানে বাইডেন আমেরিকার শরিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। আফগানিস্তান ইস্যু নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে শরিক কোনও কোনও দেশের মধ্যেও।


জি-৭ গোষ্ঠীতে রয়েছে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান ও কানাডা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান, বৈঠকে আফগানিস্তান থেকে অসহায়দের উদ্ধারের ব্যাপারের আলোচনা হবে। ৩১ অগাস্ট আমেরিকা সেনা প্রত্যাহারের পর দীর্ঘমেয়াদিভাবে ওই দেশে কী স্থায়ী সমাধান হয় তা নিয়ে পরিকল্পনা করা হতে পারে। তাছাড়া গত ২০ বছর ধরে আফ্রিকাকে নিরাপত্তা-সহায়তা দেওয়ার পর কী লাভ হয়েছে সে নিয়েও আলোচনা হতে পারে। বিশেষ করে নারী শিক্ষা ও মহিলাদের অধিকারের বিষয়গুলিতে নজর দেওয়া হবে। তাছাড়া যদি তালিবানরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, সেক্ষেত্রে আর্থিক অনুমোদনের বিষয়ে কী হবে তা নিয়েও আলোচনা হবে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছে ইংল্যান্ডের কূটনৈতিক সূত্র।


প্রসঙ্গত, সোমবার তালিবানের মুখপাত্র জানায়, ‌প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ৩১ অগাস্টের মধ্যে আমেরিকান সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে। যদি সেটা না হয়, তার অর্থ আফগানিস্তানে বাড়তি মার্কিন সেনা রয়েছে। যা থাকার কথা নয়। মনে রাখবেন, ডেডলাইন নয়, ওটা রেডলাইন। তার পরিণতির জন্য আমেরিকাকে প্রস্তুত থাকবে হবে।‌ 


এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, ৩১ অগাস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সমস্ত মার্কিন নাগরিককে উদ্ধার করা হবে। রবিবারই সাংবাদিক বৈঠকে বাইডেন জানিয়েছেন, ৩১ অগাস্টের মধ্যে এই কাজ শেষ করার জন্য। তবে প্রয়োজন পড়লে সময়সীমা আরও বাড়াতে চান তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার দাবি করেছেন যে আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার যে অভিযান তা "ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে কঠিন কাজের মধ্যে একটি"।


উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সুরক্ষায় রয়েছে অন্তত ৫ হাজার মার্কিন সেনা।