টোকিও: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত জাপানে ফের বিপত্তি। বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুই বিমানের মধ্যে সংঘর্ষ, তার জেরে বিধ্বংসী আকার নিল আগুন। ১২ বিমানকর্মী-সহ ৩৭৯ জন যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে আনা গিয়েছে বিমান থেকে। পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে একটি যাত্রীবাহী বিমানকে দাউদাউ করে জ্বলতে দেখা গিয়েছে। সেই অবস্থায়ই দ্রুত গতিতে রানওয়ে ধরে এগিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে বিমানটিকে। (Japan Flight Fire) অন্য বিমানটির পাঁচ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। একজন বেঁচে গিয়েছেন।


জাপানের টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা টোকিও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামেও পরিচিত। জাপান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে প্রথম আগুন ধরে বলে জানা গিয়েছে। দেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল NHK জানিয়েছে, কী করে দুর্ঘটনা ঘটল, এখনও পর্যন্ত বিশদ তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে অধিকাংশ যাত্রীকে নিরাপদে বের করে আনা গিয়েছে। তারা যে ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ করেছে, তাতে গোটা বিমানটিকে দাউদাউ করে জ্বলতে দেখা গিয়েছে। রানওয়ে দিয়ে ছোটার সময়, তার পিছনে আরও একটি জায়গায় আগুন ধরতে দেখা যায়। (Japan Airport Fire)


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাপান এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস A350 বিমানটি হানেদা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা উপকূলরক্ষীবাহিনীর একটি বিমানে সজোরে ধাক্কা মারে। উপকূলরক্ষীবাহিনীর বিমানটিতে ছয় জন কর্মী ছিলেন, তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। একজনকে বাঁচানো গিয়েছে। বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফায়ার ব্রিগেডের লোকজনকে দেখা গিয়েছে। আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে।



স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরের হোক্কাইদো থেকে নিউ চিতোজ বিমানবন্দর থেকে জাপান এয়ারলাইন্সের ওই বিমানটি হানেদা বিমানবন্দরে এসে নামে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন বলে খবর। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, উপকূলরক্ষীর বিমানটি ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ করছিল। বিমানবন্দর থেকে জিনিসপত্র নিয়ে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। সেই সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে।


এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিমানবন্দরে দমকলের ৭০টি ইঞ্জিন নামানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। গত কয়েক দশকে গুরুতর কোনও বিমান দুর্ঘটনা ঘটেনি জাপান। ১৯৮৫ সালে জাপান এয়ারলাইন্সেরই একটি জাম্বো জেট টোকিও থেকে ওসাকা যাওয়ার পথে গুনমায় ভেঙে পড়ে। সেই দুর্ঘটনায় ৫২০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। তার পর থেকে বড় কোনও বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী না হলেও, মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনা ঘটল জাপানে।