নয়াদিল্লি: চন্দনকাঠের বুদ্ধমূর্তি (sandalwood buddha statue)। কর্নাটকে (Karnataka) তৈরি সুন্দর, ছিমছাম এই উপহারই জাপানের (Japan PM) প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার হাতে তুলে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (India PM Narenrda Modi)। কদমওয়ুড়ি জালি বাক্সে ভরে মূর্তিটি তুলে দেওয়া হয়েছে কিশিদার হাতে। সোমবার দুদিনের ভারত সফরে এসেছেন জাপানের রাষ্ট্র্রপ্রধান। অভ্যর্থনা উপলক্ষ্যে চন্দনকাঠের বুদ্ধমূর্তি বেছে নিয়েছেন মোদি।


মূর্তির বিবরণ...
মূর্তিটির সামনের অংশে ধ্যানী বুদ্ধের প্রতিকৃতি রয়েছে। আর পিছন দিকে বোধিবৃক্ষ খোদাই করা। সব মিলিয়ে নজরকাড়া শিল্পকীর্তি। চন্দনকাঠ খোদাই করে শৈল্পিক প্রতিকৃতি তৈরির দস্তুর দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে কর্নাটকে। সুগন্ধী চন্দনকাঠে ব্লক খোদাই করে স্থাপত্য, প্রতিকৃতি তৈরির ধারা কর্নাটকে বহু প্রাচীন। ইতিহাসবিদদের অনেকে মনে করেন, এটি প্রায় ক্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতক থেকে চলে আসছে। সেই সময় অবশ্য চন্দনকাঠ ব্যবহার করে দেবদেবীমূর্তি ব্যবহার করা হত। মন্দির এবং অন্যান্য উপাসনাস্থলেও এই ধরনের শিল্পকীর্তির ধারা দেখা যায়। সমঝদারদের কাছে এই শিল্পের যথেষ্ট কদর রয়েছে। আধ্যাত্মিক ব্যক্তিরাও এই ধরনের মূর্তিকে অত্য়ন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। 


ভারতে কিশিদা...
এদিন সকালেই ভারতে পা রাখেন জাপানের রাষ্ট্রপ্রধান। বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের পাশাপাশি জি ২০-তে ভারতের সভাপতিত্ব এবং জি-সেভেনে জাপানের প্রেসিডেন্সির বিষয়দুটি যাতে একসঙ্গে মিলতে পারে, সে নিয়ে আলোচনাই এই সফরের মূল উদ্দেশ্য়। তা ছাড়া একাধিক বিশ্বজনীন বিষয়েও আলোচনা হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার পরিসর আরও জোরালো করার ব্যাপারে কার্যত একসুরে কথা বলেছেন দুই প্রধানমন্ত্রী। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি,  স্থিতাবস্থা বজায় রাখার কথা মাথায় রেখেই এই কথা ভাবা হয়েছে বলে নয়াদিল্লি সূত্রে খবর। গত বছরখানেক ধরে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত আন্তর্জাতিক মহল। তার উপর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের 'দাদাগিরি' যথেষ্ট চিন্তায় রেখেছে ভারতকে। এমন পরিস্থিতিতে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের দিকে তাকিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরাও। প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, বাণিজ্য় এবং বিনিয়োগ-সহ একাধিক ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার জায়গাটি এর মধ্যেই খতিয়ে দেখেছে ভারত ও জাপান। তা ছাড়াও আরও কিছু বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে দু-তরফের মধ্যে। তবে মোদির বার্তায় একটি বিষয় স্পষ্ট। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আন্তর্জাতিক নিয়মকানুনকে মাথায় রেখেই কৌশলগত সমঝোতার বিষয়টি আলোচনা করবে ভারত ও জাপান।


আরও পড়ুন:'কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে CRPF মোতায়েনে সমস্যা রয়েছে', আদালতে জানাল কেন্দ্র