কলকাতা: 'কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে সিআরপিএফ মোতায়েনে সমস্যা রয়েছে, সিআরপিএফ এর অফিস থেকে কৌস্তভ বাগচীর বাড়ির দূরত্বের কারণেই সমস্যা', আদালতে সিদ্ধান্তের কথা জানাল কেন্দ্র। বড়তলা থানার ভূমিকা নিয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। 


'সমাধানসূত্র বের করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে আইনজীবীরা আলোচনা করুন। কৌস্তভ বাগচী একজন আইনজীবী এবং মুখ্যমন্ত্রীও সকলের মুখ্যমন্ত্রী। এই দুর্ভাগ্যজনক বিতর্কের শেষ হওয়া দরকার', পরামর্শ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। 


আদালতের নির্দেশে সেই কৌস্তভের বাড়িতেই নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল। রাজ্যপুলিশের তরফ থেকেই এই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে আগামী দিনে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাও পেতে পারেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ, তেমনটা জানান হয়েছিল। কৌস্তভের বাড়িতে ৫ জন নিরাপত্তারক্ষী ও কৌস্তভের সঙ্গে একজন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী থাকবেন। আদালতের নির্দেশের পর, ব্যারাকপুর কমিশনারেটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন কৌস্তভ। 



সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে আক্রমণ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী।এরপরই বড়তলা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এক তৃণমূলকর্মী। ওইদিনই শেষ রাতে কৌস্তভের ব্য়ারাকপুরের বাড়িতে পৌঁছে যায় বড়তলা থানার পুলিশ। কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।                                                                


আরও পড়ুন, পার্থ-মানিকের পর এবার নতুন প্রভাবশালীদের নাম নিয়োগ দুর্নীতিতে?


বটতলা থানার অতি সক্রিয়তা নিয়ে ওসিকে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজা শেখার মান্থা । পুলিশকে ভর্ৎসনার সুরে বিচারপতি বলেছিলেন, "বটতলা পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধান করা উচিত ছিল ৷ এমন কিছু তথ্য প্রমাণ নেই যা থেকে এর গুরুত্ব বোঝা যায় ৷ কোনও নোটিশ না পাঠিয়ে নাগরিকের অধিকার ক্ষুণ্ণ করেছে পুলিশ ৷ আদালত জানতে আগ্রহী, কীসের ভিত্তিতে মাঝরাতে পুলিশ তাঁর বাড়ি গিয়েছিল ৷ আর সারারাত থেকে পরের দিন গ্রেফতার করল তাঁকে ৷ যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরোধী ৷ থানার এই ভূমিকা নিয়ে অনুসন্ধান দরকার ৷ কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে খতিয়ে দেখতে হবে কীসের ভিত্তিতে থানা এই ঘটনা ঘটালো ৷ কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখতে হবে ৷ তারপরে তাঁকে আদালতে রিপোর্ট দিতে হবে ৷"