নয়াদিল্লি: পানামা-কাণ্ডে (Panama papers Case) জেরা চলছে পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের (Aishwarya Rai Bachchan)। ওই একই সময়ে সংসদে মেজাজ হারালেন তাঁর শাশুড়ি তথা সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) সাংসদ জয়া বচ্চন (Jaya Bachchan)। সংসদের উচ্চকক্ষে তাঁকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। তার পাল্টা কেন্দ্রের উদ্দেশে হুঁশিয়ারির সুরে জয়া বলেন, “খুন শীঘ্র খারাপ আপনাদের সময় আসতে চলেছে।”  


করফাঁকি দিয়ে বিদেশে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ এবং আয় নিয়ে সোমবার ঐশ্বর্যকে টানা পাঁচ ঘণ্টা জেরা করেন এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা। সেই সময় সংসদের উচ্চকক্ষে শীতকালীন অধিবেশনে ১২ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করার বিরুদ্ধে বিরোধী শিবিরের প্রতিবাদে সামিল ছিলেন জয়া।


সেই সময় বিজেপি-র রাজ্যসভা সাংসদ যুগল লোখন্ডওয়ালা ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে তাঁর উদ্দেশে ব্যক্তিগত কটাক্ষ করেন বলে অভিযোগ জয়ার। তাঁর অভিযোগ, হই-হট্টগোল চলাকালীন লোখন্ডওয়ালা তাঁকে কটাক্ষ করেন।  যদিও বিজেপি সাংসদের দাবি,  তিনি বলেছিলেন,  ‘নাটক করবেন না’। তবে শুধু জয়াকে নিশানা করে ওই মন্তব্য করেননি, গোটা বরোধী শিবিরের উদ্দেশেই ওই কথা বলেন।


কিন্তু সেই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। লোখন্ডওয়ালার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে এ দিন রাজ্যসভায় সভাপতির চেয়ারে থাকা ভুবনেশ্বর কালিতার কাছে দাবি জানা জয়া। কিন্তু তাঁর সঙ্গেও কথা কাটাকাটি শুরু হয় জয়ার। বিজেপি সাংসদরাও জয়ার বিরুদ্ধে কার্যত তেড়ে ওঠেন।


আরও পড়ুন: Election Laws Amendment Bill: লোকসভায় পাশ নির্বাচন সংশোধনী বিল, ভোট প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের অভিযোগ


তাতেই মেজাজ হারান জয়া। বলেন, “এটা কী হচ্ছে? জঘন্য কাজ করছেন আপনারা। খুব শীঘ্র খারাপ দিন আসতে চলছে আপনাদের। আমি অভিশাপ দিচ্ছি।”


বাদল অধিবেশনে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী শিবিরের ১২ জন সাংসদকে রাজ্যসভা থেকে গোটা অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই বিজেপি-র। তাই নীতি বহির্ভূত ভাবে ১২ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, যাতে নিজেদের সাংসদদের দিয়ে ইচ্ছা মতো বিল পাশ করিয়ে নিতে পারে কেন্দ্র।


কিন্ত লাগাতার সেই নিয়ে প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ চললেও, বিরোধী সাংসদদের নিয়ে অবস্থান পাল্টায়নি রাজ্যসভা। এ দিন জয়াও তা নিয়ে সরব হন। সভাপতির উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা ন্যায্য বিচার চাই। ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে তা পাব না জানি, আপনার কাছ থেকে কি বিচারের আশা করতে পারি? সংসদে উপস্থিত এবং বাইরে ধর্নায় থাকা বিরোধী সাংসদদের নিরাপত্তা নিয়ে কি বিন্দুমাত্র চিন্তিত আপনি?”


সংসদ থেকে বেরিয়েও এ দিন ক্ষোভ উগরে দেন জয়া। জানান, কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে চান না তিনি। কিন্তু সংসদে যা চলছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।