নয়াদিল্লি : আর্থিক তছরুপ মামলায় গ্রেফতার Jet Airways-এর প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়াল। কানাড়া ব্যাঙ্কের ৫৩৮ কোটি টাকা জালিয়াতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মুম্বইয়ে ইডি-র অফিসে দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে জেট ওয়ারওয়েজ কর্তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।


শনিবার মুম্বইয়ে বিশেষ PMLA আদালতে পেশ করা হবে ৭৪ বছরের নরেশ গয়ালকে। ইডি তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে। জেট এয়ারওয়েজ, নরেশ গয়াল, তাঁর স্ত্রী অনিতা এবং কোম্পানির কয়েকজন প্রাক্তন এক্সিকিউটিভের বিরুদ্ধে কানাড়া ব্যাঙ্কের ৫৩৮ কোটি টাকার জালিয়াতি মামলায় এফআইআর দায়ের করে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ইডির আর্থিক তছরুপ মামলার তদন্ত।


ব্যাঙ্কের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। তারা অভিযোগ জানিয়েছিল, ব্যাঙ্কের তরফে জেট এয়ারওয়েজ লিমিটেডকে ৮৪৮.৮৬ কোটি টাকা ক্রেডিট লিমিট ও ঋণ অনুমোদন করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৫৩৮.৬২ কোটি টাকা অনাদায়ী।


সিবিআইয়ের বক্তব্য, ২০২১ সালের জুলাই মাসে এই অ্যাকাউন্টটিকে "জাল" ঘোষণা করা হয়েছিল। ব্যাঙ্ক অভিযোগ করেছে যে JIL-এর ফরেনসিক অডিট দেখিয়েছে , এটি মোট কমিশন খরচের মধ্যে "সম্পর্কিত সংস্থাগুলি"কে ১৪১০.৪১ কোটি টাকা দিয়েছে। এইভাবে JIL থেকে তহবিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ এফআইআরে বলা হয়েছে, স্টাফদের বেতন দেওয়া, ফোন বিল ও গাড়িবাবদ খরচ এবং গয়াল পরিবারের অন্যান্য খরচের মত ব্যক্তিগত খরচ এই টাকা থেকে মিটিয়েছে JIL।


ফরেনসিক পরীক্ষার সময় এটিও উঠে এসেছে যে, জেট লাইট (ইন্ডিয়া) লিমিটেড (জেএলএল) এর মাধ্যমে অগ্রিম এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে তহবিলে ঘোটালা করা হয়েছে। পরবর্তীকালে লিখিত দিয়ে তা বাতিল করা হয়।  


এর আগে ২০১৯ সালে বকেয়া বেতন ও আপৎকালীন ভিত্তিতে তহবিল তৈরির দাবি জানিয়ে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিল সেই সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া বিমান সংস্থা জেট এয়ারওয়েজের কর্মীদের দু’টি সংগঠন। চিঠিতে লেখা হয়, ‘আমাদের আবেদন, জরুরি ভিত্তিতে বর্তমান অবস্থার বিচার করা হোক এবং জেট এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষকে সমস্যায় পড়া কর্মীদের সব বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। এখন প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপৎকালীন ভিত্তিতে তহবিল তৈরি করা হোক।’ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় জেট এয়ারওয়েজ। এই সংস্থায় ২৩,০০০ কর্মী ছিলেন সেই সময়। পাইলট সহ সব কর্মীরই বেতন বকেয়া ছিল। ফলে চরম সমস্যায় পড়েন তাঁরা। কোনও উপায় না দেখে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন জেটের কর্মীরা।