অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম : টানা বৃষ্টিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত জলমগ্ন। একই ছবি ধরা পড়ল ঝাড়গ্রাম জামবনী ব্লকেও। দু'দিনের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সেখানকার জনজীবন। একাধিক জায়গায় জল জমে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ডুলুং নদীর জল বাড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ঝাড়গ্রাম জামবনী ব্লকের। 


জল বাড়তে শুরু করেছে সুবর্ণরেখা, কংসাবতী নদীতে। ঝাড়খণ্ডেও যদি একই ভাবে বৃষ্টি চলে তাহলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। টানা বৃষ্টিতে পৌরসভার বেশ কিছু ওয়ার্ডে জল জমা হয়েছে। শহরের নিকাশি ব্যবস্থা পুরোপুরি ঠিক না থাকায় জল জমছে বলে অভিযোগ। বৃষ্টি না কমলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে।


এদিকে গত কাল রাত থেকে দফায় দফায় বর্ষণের জেরে হাওড়া শহর এলাকার অধিকাংশ ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কমপক্ষে ২৫টি ওয়ার্ডে জল দাঁড়িয়ে গেছে। দাসনগর, রামরাজাতলা, টিকায়াপাড়া, লিলুয়া, মধ্য হাওড়ার পঞ্চাননতলা, উত্তর হাওড়ার সালকিয়া, ঘুসুড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় কোথাও হাঁটু সমান আবার কোথাও তার বেশি জল দাঁড়িয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় জল দোকান এবং বাড়িতেও ঢুকে পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ফি বছর বর্ষাকালে একই সমস্যা রয়ে গেছে। একটু বেশি বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। জলের তলায় উলুবেড়িয়ার রঘুদেবপুর এলাকা। মল্লিকপাড়া, মোল্লাপাড়া, পুরকায়েতপাড়া- সমস্ত এলাকায় জমে যায় হাঁটু সমান জল।


হাওড়ার পাশাপাশি, হুগলিরও বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমে যায়। ডানকুনি স্টেশনে রেল লাইন চলে যায় জলের তলায়। হিন্দমোটর স্টেশন রোডেও জল জমে যায়। জল ঢুকে যায় ফল, মিষ্টির দোকান থেকে শুরু করে ওষুধের দোকানে। এছাড়াও, উত্তরপাড়া পুরসভার ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ ওয়ার্ডের বহু বাড়ির একতলা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জল জমে যায় শ্রীরামপুরেও। ডানকুনি, উত্তরপাড়া ও শ্রীরামপুর পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,  বৃষ্টির পাশাপাশি গঙ্গার জল বেশি থাকায় বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যায়। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।