নয়া দিল্লি: পেশায় বিড়ি বিক্রেতা তিনি। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা ছিল সামান্যই। হঠাৎই অ্যাকাউন্টে (Bank Account) এল ১ লক্ষ টাকা। দেখে তো চক্ষু-চড়কগাছ ওই ব্যক্তির। মনে মনে তিনি তখন ভেবেছেন- 'দেনেওয়ালা যব দেতা হ্যায়, ছপ্পর ফাড়কে দেতা হ্যায়'। কিন্তু তখনও তিনি ভাবেননি যে এই অর্থই তাঁর জীবনে অনর্থ নিয়ে আসছে! 


ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) সিংহভূম জেলা থেকেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)। জানান হয়েছে, একজন মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার জন্য গ্রেফতার করা হচ্ছে তাঁকে। ভুলবশত ওই মহিলার আধার নম্বরের সঙ্গে লিঙ্ক হয়ে গেছিল ওই বিক্রি বিক্রেতার অ্যাকাউন্ট। 


পুলিশ এও জানায়, দুই বছর আগে একটি কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে অ্যাকাউন্টে আধার লিঙ্কের কাজটি হয়েছিল। ঝাড়খণ্ড রাজ্য গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার এক মহিলার কাছ থেকে একটি অভিযোগ পান যে, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে হঠাৎই এক লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে যায়। এরপর তদন্ত শুরু করতে গিয়েই দেখা যায়, আধার লিঙ্কে ত্রুটি রয়েছে।                                                                 


এরপর ওই বিক্রি বিক্রেতাকে 'ভুল করে' পাঠানো টাকা পাঠাতে বলা হয়। যদিও তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন। এমনকী থানায় হাজিরাও দেননি। এরপর মুফাসিল থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬ ধারা, ৪২০ ধারা অনুযায়ী এফআইআর দায়ের করা হয়। পুলিশ বলেছে যে, টাকা তোলার সময় অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের নাম দেখেও উপেক্ষা করেই সে টাকা তুলেছেন ওই বিড়ি বিক্রেতা।                             


আরও পড়ুন, বিশ্বের বিষাক্ততম প্রাণীর খপ্পড়ে যুবতী, মারণ কামড়ে মুহূর্তে মৃত্যুর মুখোমুখি!


ব্যাঙ্কের ম্যানেজার মনীশ কুমার জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, গ্রামীণ ব্যাঙ্কের স্পনসরশিপ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে চলে গেছে। সম্পূর্ণ ডেটা SBI-এর সাথে একীভূত করা হয়েছিল। সেই সময়ই হয়তো আধার নম্বর ভুলবশত অন্য কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক হয়ে গিয়েছিল। তিনি এও বলেন, ওই মহিলা আগে অভিযোগ করেননি, অন্যথায় আমরা এটি বন্ধ করতে পারতাম। 


আধার কেন্দ্রের তরফে একজন আধিকারিক বলেছেন যে, এটি সম্পূর্ণতই ব্যাঙ্কের গাফিলতি।