নয়া দিল্লি: সমুদ্রে নেমেছিলেন জলকেলি করতেই। মনোরম আবহাওয়া, সৈকতের অপরূপ রূপ, ঠান্ডা জলের ঢেউ আছড়ে পড়ছে পায়ে, এমন সৌন্দর্য্যকে বাড়তি উপভোগ করতে কে না চায়? সেই ভাবনা থেকেই সমুদ্র-স্নানে নামা। কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়েই যে এমন বিপদ ডেকে আনবেন তা আর কে জানত! বিশ্বের বিষাক্ততম প্রাণীর হানায় জীবন শেষের উপক্রম হয়েছিল অস্ট্রেলিয় এক মহিলার।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই প্রাণীটির কামড়ে যে পরিমাণ বিষ তৈরি হয় দেহে, সেখানে বাঁচার সম্ভাবনা কম থাকে। তবে মহিলা বেঁচেছেন ভাগ্যের জোরেই। যে প্রাণীর কথা জানা গিয়েছে তাঁর নাম- ব্লু-রিংগড অক্টোপাস (Blue-Ringed Octopus)। বিজ্ঞানসম্মত নাম- Hapalochlaena lunulata। এই অক্টোপাস প্রজাতিটির চারটি উপপ্রজাতি রয়েছে। সাউদার্ন ব্লু-রিংগড অক্টোপাস, ব্লু-লাইনড অক্টোপাস, কমন ব্লু-রিংগড অক্টোপাস এবং এই প্রজাতিটি।
এই অক্টোপাসগুলি আপনার হাতের তালুতে মাপসই করার জন্য যথেষ্ট ছোট। নীল-রিংযুক্ত অক্টোপাসগুলিতে টেট্রোডোটক্সিনও থাকে। এটি একটি শক্তিশালী নিউরোটক্সিন যা মানুষকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত করতে পারে। এর ছোট ডোজে একজন মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন, পৃথিবীর দিকে ঘুরল বিরাটাকার কৃষ্ণগহ্বর, বিকিরণের মারাত্মক প্রভাব নিয়ে চিন্তিত বিজ্ঞানীরা
১৬ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের সিডনির কাছে একটি সমুদ্র সৈকতে এই প্রাণীর হানায় এক মহিলার মৃত্যু হতে চলেছিল। সমুদ্রে সাঁতার কাটার সময় তাঁর পেটে কামড় দেয় ওই প্রাণীটি।
অসম্ভব পেট ব্যথা নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও ততক্ষণে শ্বাসযন্ত্রে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, টেট্রোডোটক্সিনের প্রভাব দ্রুত ঘটতে পারে বা দেরিতে শুরু হতে পারে, তাই বিষ শরীরে প্রবেশের ২০ মিনিট থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মৃত্যু ঘটতে পারে।