রাঁচি : ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধায়কপদ খারিজের সম্ভাবনা, খবর সূত্রের। রাঁচির রাজনীতিতে এই মুহূর্তে জোর গুঞ্জন, হেমন্ত সোরেনের বিধায়কপদ খারিজ করার ঘোষণা করতে পারেন রাজ্যপাল রমেশ ব্যাস। যে জন্যই নাকি রাঁচি পৌঁছচ্ছেন রাজ্যপাল।
কিছুদিন আগেই নিজের নামে খনি লিজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিল বিজেপি। যার পরই এ নিয়ে মত জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন বলেই খবর। যদুও এমন কোনও রিপোর্ট এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই সোরেনের বিধায়কপদ খারিজ হচ্ছে বলে দাবি বিজেপির। এমন কোনও নির্দেশ পাইনি, দাবি রাজ্যপাল রমেশ ব্যাসের।
কী বলছেন হেমন্ত
গোটা পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (JMM) নেতা হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। বিজেপি-র নেতারা 'মিথ্যে রিপোর্ট বানিয়ে আগুনের সঙ্গে খেলছেন' বলেই আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। এদিকে সাংবাদিক সম্মেলন করে জেএমএম মুখপাত্র সুপ্রিম ভট্টাচার্য বলেছেন, বিজেপির শাসনকালে দেশের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলোর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রবল প্রশ্ন ওঠে। আমাদের পার্টি তৈরির ৫০ বছর পূর্তি উৎসব পালন চলছে, তাই নানাভাবে বিব্রত করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের শাসকদল।
বিজেপির দাবি
বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, নিজের নামে খনি লিজ নিয়ে নৈতিকভাবে ভুল কাজ করেছেন হেমন্ত সোরেন। শুধু তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ-ই নয়, গোটা ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভেঙে দিয়ে ৮১ টি আসনে ফের নির্বাচনের দাবি তুলেছেন বিজেপির সাংসদ নিশিকান্ত দুবে।
এদিকে ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের সরকারের জোটসঙ্গী কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁরা দেখা করেছেন। নির্বাচন কমিশনের তরফে মুখবন্ধ খামে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের যে চিঠি নির্বাচন কমিশন পাঠিয়েছে বলে বিজেপি দাবি করছে, তেমন কোনও চিঠিই হেমন্ত সোরেন পাননি বলেই জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস নেতা আলমগীর আলম।
রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সূত্রপাত
কিছুদিন ধরেই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেসের নেতারা দাবি করছেন, ঘোড়া কেনাবেচায় নেমেছে বিজেপি। বিধায়কদের টাকা দিয়ে ভাঙিয়ে নিয়ে ঝাড়খণ্ডের সরকার ফেলে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তাঁরা। গতমাসের শেষে বাংলাতে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা সহ হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক। হাওড়া কাণ্ড সামনে আসার পর থেকে এরাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মতোই ঝাড়খণ্ডের ক্ষমসাধীন সরকারও দাবি করছে, টাকা নিয়ে সরকার ভাঙানোর খেলায় নেমেছে কেন্দ্রের শাসকদল।
আরও পড়ুন- পেগাসাসকাণ্ডে ফোনে আড়িপাতার কোনও প্রমাণ মেলেনি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট