কলকাতা: করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি থাকুক আর নাই থাকুক, প্রত্যেকেই আমাদের পরামর্শ দেন সুস্থ থাকার জন্য ভালো খাবার খাওয়ার। কোভিড পরিস্থিতিতে তা আরও বেশি বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা থেকে চিকিৎসকেরাও নানা সময়ই পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার (Healthy Foods) পরামর্শ দেন। কিন্তু কেন রোজ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া (Healthy Eating) দরকার?
রোজ স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে কী উপকার পাওয়া যায়?
কাজের ব্যস্ততার জন্য হোক কিংবা সময়ের অভাব অথবা লাইফস্টাইলের কারণে, বহু মানুষই আজ চটজলদি তৈরি হয়ে যাওয়ার খাবারের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। প্রতিদিন তাঁদের পাতে থাকছে প্যাকেটজাত খাবার থেকে চটজলদি তৈরি হয়ে যাওয়া খাবার। এই লাইফস্টাইল থেকে বেরিয়ে স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবারে মনোনিবেশ করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয়। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখা খুব একটা কঠিন কোনও বিষয় নয়। এমন নয় যে, আপনিই একমাত্র মানুষ যিনি এই কাজ করছেন। আশেপাশে বহু মানুষই শরীরের দিকে খেয়াল রাখার জন্য পুষ্টিকর খাবার বেছে নেন। কোনও নির্দিষ্ট এক ধরনের খাবারই পুষ্টিকর নয়। এর তালিকা বেশ দীর্ঘ। তাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানা ধরনের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যেতেই পারে। পুষ্টিকর খাবার যে শুধুমাত্র শরীরকেই সুস্থ রাখে, এমনটা নয়। এই খাবার সুস্থ রাখে মস্তিষ্ককেও। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রকাভ আমাদের মেজাজেও পড়ে। মেজাজ সঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে স্বাস্থ্যকর খাবার। প্রসেসড ফুডের তুলনায় সবসময়ই আগে বেছে নেওয়া দরকার রান্না করা স্বাস্থ্যকর খাবার। তাহলে সহজেই নজর পড়বে আপনার মেজাজে।
আরও পড়ুন - Hair Care Tips: বর্ষাকালে চুল থাকবে স্বাস্থ্যকর, মেনে চলুন এই সহজ উপায়গুলো
১. বয়স অনুযায়ী বহু ক্ষেত্রেই সঠিক উচ্চতা বৃদ্ধি না হওয়ার উদাহরণ দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের হরমোনে প্রভাব ফেলে। এবং বয়স অনুযায়ী উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
২. ওজন বৃদ্ধি থেকে ওজন কমানো, সমস্তটাই নির্ভর করে স্বাস্থ্যকর খাবারের উপর। । অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সঠিক খাবার না খাওয়ার কারণে ওজন কমাতে চেয়েও পারছেন না।
৩. বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অবশ্যই ভিটামিন, প্রোটিন, মিনারেলসের সঙ্গে থাকতে হবে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড প্রভৃতি। এতে স্বাস্থ্যের সঙ্গে সঙ্গে চুল, ত্বকও সুস্থ থাকবে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।