নয়াদিল্লি : পেগাসাসকাণ্ডে (Pegasus Row) ফোনে আড়িপাতার কোনও প্রমাণ মেলেনি। জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, ২৯টি ফোন পরীক্ষার পর ৫টি ফোনে ম্যালওয়্যার মিলেছে। তবে সেগুলি স্পাইওয়্যার কি না, তা নিশ্চিত নয়।
পেগাসাসকাণ্ডে ৩টি অংশে রিপোর্ট জমা দেয় সুপ্রিম কোর্ট গঠিত কমিটি। এর মধ্যে ২টি টেকনিক্যাল কমিটির, আরেকটি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আর ভি রবীন্দ্রন নেতৃত্বে গঠিত নজরদারি কমিটির। যে ৫টি ফোনে ম্যালওয়্যার মিলেছে, সেগুলি সাইবার নিরাপত্তার অভাবের কারণে ঘটেছে বলে টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্টে দাবি।
৩ টি রিপোর্টে বিস্তারিতভাবে ঠিক কী তথ্য জমা পড়েছে তা একান্ত গোপনীয় ও সর্বসমক্ষে পেশ করার জন্য নয় বলেই পর্যবেক্ষণ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের। সরকারের তরফে যে রিপোর্ট তৈরির সময় সেভাবে কোনও সাহায্য করা হয়নি বলেই সর্বভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি। যদিও সেই তথ্য কার্যত উড়িয়ে দিয়ে বরং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে কটাক্ষ ছুড়তে দেরি করেনি বিজেপি (BJP)।
বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ খোঁচা, নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের নামে বদনাম রটানোর চেষ্টা করেছিল কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর সর্বসমক্ষে ক্ষমা চাওয়া উচিত সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণের পর।
মাস কয়েক আগে মার্কিন দুই সংবাদপত্র্রের রিপোর্টের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানীর রাজনীতি। আমেরিকার দুই সংবাদপত্র 'দ্য গার্ডিয়ান' ও 'ওয়াশিংটন পোস্ট' দাবি করে, পেগাসাস নামের একটি বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে দেশের পরিচিত তথা গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিত্বদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে বিশ্বের বহু দেশের সরকার। এই তালিকায় নাম রয়েছে ভারতেরও। ইজরায়েলি নজরদারি কোম্পানি 'এনএসও' এই সফটওয়্যারটি বিক্রি করেছে। ইজরায়েলি স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী, সাংবাদিক থেকে শুরু করে বিচারপতি ও বিশিষ্টজনদের ফোন হ্যাকিংয়ের অভিযোগ ওঠে নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন- সেপ্টেম্বরে ১৩ দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ, দেখে নিন পুরো তালিকা