নয়াদিল্লি: গত রবিবার জেএনইউ-তে যে হামলা হয়েছিল, তা ছিল ‘রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট’। এমনটাই দাবি করেছে কংগ্রেসের তথ্যানুসন্ধান কমিটি। পাশাপাশি, রিপোর্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্যের অপসারণ ও তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্তের সুপারিশ করেছে কমিটি।
জেএনইউ হামলার ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত করতে একটি চার সদস্যের তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করে কংগ্রেস। কমিটির সদস্য সুস্মিতা দেব জানান, তাঁরা অবিলম্বে উপাচার্য এম জগদেশ কুমারের অপসারণ সুপারিশ করেছেন। কমিটির সুপারিশ, সকল ফ্যাকাল্টি সদস্যের নিয়োগ নিয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন এবং এর জন্য নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা উচিত।
মহিলা কংগ্রেসের প্রধান সুস্মিতা বলেন, উপাচার্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হওয়া উচিত। যে সংস্থা নিরাপত্তা প্রদান করে এবং যে ফ্যাকাল্টি সদস্যরা হামলাকারীদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে সবরমতী হস্টেলে হিংসা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি, ওই নিরাপত্তা সংস্থার বরাত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
সুস্মিতা বলেন, এটা পরিষ্কার যে, জেএনইউ ক্যাম্পাসে হামলা ‘রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট’। এছাড়া, জেএনইউ-র ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকেও পূর্ণ প্রত্যাহার করার দাবি তোলেন তিনি। এই কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন-- সাংসদ তথা প্রাক্তন জেএনইউ ছাত্র সংগঠন (জেএনইউএসইউ) সভানেত্রী হিবি ইডেন, সাংসদ তথা প্রাক্তন জেএনইউএসইউ সভাপতি সঈদ নাসের হুসেন এবং প্রাক্তন জেএনইউএসইউ ও প্রাক্তন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগঠন(ডিইউএসইউ) সভানেত্রী অমৃত ধবন।
গত ৫ তারিখ রাতে, রাজধানীর বুকে দেশের অভিজাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে, অবাধে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। মুখে কাপড় বাধা, হাতে ছিল লাঠি-রড। দুষ্কৃতীদের মারে রক্তাক্ত হন, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। মারের হাত থেকে রেহাই পেলেন না অধ্যাপিকারাও। হামলার দায় নিয়ে একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে এবিভিপি ও বামেরা।