নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলায় কানহাইয়া কুমার ও অন্যদের বিচারের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে দিল্লির কেজরীবাল সরকারকে এক মাসের ভিতরে সিদ্ধান্ত নিতে বলল দিল্লির এক আদালত। এব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্বের ফলে বিচারবিভাগের প্রচুর সময় নষ্ট হয়েছে কেননা মামলাটি তালিকাভুক্ত হয়েছে, কিন্তু চার্জশিট পেশ হওয়ার পর থেকে বারবার মুলতুবি হয়ে যাচ্ছে, বলেছেন মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মনীশ খুরানা। বিচারের অনুমোদন সংক্রান্ত ফাইলটি স্বরাষ্ট্র দপ্তরের বিবেচনাধীন রয়েছে বলে দিল্লি পুলিশ আদালতে জানানোর পরই এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালত বলেছে, অনুমোদন দেওয়া না দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করতে যে সময় নেওয়া হচ্ছে, তার ফলে বিচারবিভাগের সময় নষ্ট হয়েছে, কেননা মামলাটি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর চার্জশিট পেশ হওয়া থেকে বারবার মুলতুবি হয়ে গিয়েছে। এই মামলায় যাতে পরবর্তী অগ্রগতি হতে পারে, সেজন্য সম্মতি দেওয়া না দেওয়ার ব্যাপারে দিল্লি সরকার এক মাসের ভিতর সিদ্ধান্ত নেবে, এটাই আশা করা হচ্ছে। ২৫ অক্টোবর বিষয়টি নিয়ে পরের শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত। তার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন শীর্ষ পদাধিকারী কানহাইয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রাক্তন পড়ুয়া উমর খালিদ, অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য সহ বাকিদের বিরুদ্ধে গত ১৪ জানুয়ারি চার্জশিট পেশ করে দিল্লি পুলিশ। কানহাইয়া ও বাকিরা ২০১৬-র ৯ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে মিছিল করে গিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার স্লোগান সমর্থন করেছিলেন বলে দাবি করে পুলিশ। মামলায় অভিযুক্ত কানহাইয়া ও অন্য অভিযুক্তদের বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন জোগাড় করতে পুলিশকে তিন সপ্তাহ সময় দেয় আদালত, কর্তৃপক্ষকে প্রক্রিয়ায় গতি আনতে বলার জন্যও নির্দেশ দেয় পুলিশকে।