কলকাতা:  জোকায় এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রাজনৈতিক তরজায় জড়াল বিজেপি ও তৃণমূল। চার মাস আগে ২৩ বছরের পাপিয়া ভালবেসে বিয়ে করেন ভিন্ন সম্প্রদায়ের আবুল কালাম মিদ্দেকে। মৃতার বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামীর নেশা করা নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। বধূকে বাপের বাড়িতে আসতে দেওয়া হত না। বাপের বাড়ির কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতেও দেওয়া হত না বলে অভিযোগ।


বুধবার রাতে এই নিয়ে অশান্তি চরমে ওঠে। বৃহস্পতিবার সকালে শ্বশুরবাড়িতে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় নার্সিংহোমে তাঁকে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্‍সকরা।
মৃতার স্বামী আবুল কালাম মিদ্দেও বলেন, মদ খাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে অশান্তি হত। আগের দিন রাতেও ঝামেলা হয় ।

ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। হরিদেবপুর থানার পুলিশ মৃতার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, দেওর, ভাসুরকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার মৃতার বাড়িতে যান হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ঘটনায় তৃণমূলে নিশানা করেছেন লকেট। এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, তৃণমূল ভোট ব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে একটি সম্প্রদায়কে উত্‍সাহ দিচ্ছে। সঠিক তদন্ত না হলে হরিদেবপুর থানার সামনে বিক্ষোভ করা হবে।

পাল্টা বধূ মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতির অভিযোগ করেছে তৃণমূল। কলকাতা পুরসভার ১৪৪ নং ওয়ার্ডের তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর শেফালি প্রামাণিকের দাবি, বিজেপি এই ঘটনায় রাজনীতি ঢোকাতে চাইছে, এতে ধর্মের কোনও বিষয় নেই। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে ওই গৃহবধূর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে।