ইমরান বলেন, ‘‘চিনই একমাত্র দেশ যারা বরাবর আমাদের পাশে থেকেছে। তাই পাকিস্তানের ভবিষ্যৎকে চিনের ভবিষ্যতের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়েছি আমরা।’ ইমরানের অভিযোগ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর কার্যত তুলোধোনা করেছেন তাঁকে। তাঁর জবাব, ‘যাঁরা এমন কথা বলেন, তাঁরা সম্ভবত নিজেদের দেশের ইতিহাসটাই ব্যাখ্যা করেন।’ তাঁর খোঁচা, কয়েক দশক ধরে আমেরিকার অনুগত হয়ে থাকার পরে গত এক দশকে পাকিস্তান সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে চিনের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ভারত বরাবরই তার স্বকীয় চরিত্র বজায় রেখেছে। জয়শঙ্করের বক্তব্য, ভারত কখনওই আমেরিকা বা অন্য কোনও দেশের হাতের পুতুল ছিল না, ভবিষ্যতেও হবে না।
সাম্প্রতিককালে কূটনৈতিক ময়দানে এভাবে জবাব দেওয়ার ট্রেন্ড জারি রয়েছে। ভারতের একের পর এক মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ সচিবরা বার বার মুখের উপর জবাব দিচ্ছেন পাকিস্তানকে। জয়শঙ্কর এই বক্তব্যের সময় কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, আমেরিকার টাকার মুখাপেক্ষী হয়ে এককালে ঋণের জন্য কিভাবে সেদেশের তাঁবেদারি করেছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসবাদ ও লাদেনের ধরা পড়ার পর থেকে সেই ছবি যদিও পাল্টাতে শুরু করে দক্ষিণ এশিয়ায়।
জয়শঙ্কর বলেন, ভারত একটি সভ্য দেশ। এদেশের ইতিহাস দুটি কঠিন শতক দেখেছে। তারপর স্বাধীনতা এসেছে। তিনি বলেন, অনেকেই এমন মনে করেন যে, তাঁরা যা করেছেন অন্যরাও তাইই করবে। ভারতের নিজস্ব চরিত্র রয়েছে। আর তা ভারত ধরে রাখে, বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।