দিল্লি : দেশের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেন এন ভি রমনা। তিনি সুপ্রিম কোর্টের ৪৮তম প্রধান বিচারপতি। আজ কোভিড বিধি মেনে রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।


গতকাল অবসর নেন এস এ বোবদে। তাঁর বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিচারপতি রমনা বলেন, "কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। আমরা খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এই ভাইরাসে আইনজীবী, বিচারক এবং আদালতের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। সংক্রমণ রুখতে কিছু কঠিন পদক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে। আমরা একসাথে এই প্যানডেমিককে পরাস্ত করতে পারব।"  


দায়িত্বভার নেওয়ার পর আরও একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনা। দেশের শীর্ষ আদালতে ছয়টি ফাঁকা পদ রয়েছে। তা পূরণ করার। এস এ বোবদের সময়কালে একজনকেও নিয়োগ করা হয়নি। এক বছর চার মাস মেয়াদ রয়েছে এন ভি রমানার। ২৬ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত তিনি দায়িত্বভার সামলাবেন। 


১৯৫৭ সালের ২৭ আগস্ট। অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এন ভি রমনা। বিচারপতি কে সুব্বা রাওয়ের পর তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে দেশের প্রধান বিচারপতি হলেন। ১৯৬৬-৬৭ সাল নাগাদ দেশের নবম বিচারপতি হয়েছিলেন কে সুব্বা রাও।


নিজের কেরিয়ারে রমনা অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট, সেন্ট্রাল এবং অন্ধ্রপ্রদেশ অ্যাডমিনিসট্রেটিভ ট্রাইবুনালস ও সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাক্টিস করেছেন। তিনি সংবিধান, ফৌজদারি, পরিষেবা এবং আন্তঃ-রাজ্য নদী আইনের বিশেষজ্ঞ। সুপ্রিম কোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এমনই তথ্য দেওয়া আছে।


২০০০ সালের ২৭ জুন তাঁকে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি নিয়োগ করা হয়। ২০১৩-র ১০ মার্চ থেকে ২০ মে পর্যন্ত তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের কার্যকরী প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব সামলেছেন। ২০১৩ সালে তিনি দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন এবং দেশের শীর্ষ আদালতে যান ২০১৪ সালে।


প্রসঙ্গত, বিচারপতি রমনা সেই বেঞ্চে ছিলেন, যে বেঞ্চ জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত দ্রুত খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন।